সাদা পোশাকে দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন মুরুটিয়া থানার এক সাব ইন্সপেক্টর ও কনস্টেবল। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি হয়েছে করিমপুরের গোপালেরপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে করিমপুর ও মুরুটিয়া থানার দুই ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করেন। ওই গ্রাম থেকেই হোগলবেড়িয়ার বাসিন্দা এনামুল শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে পিস্তল নিয়ে দুই দুষ্কৃতীকে ছোটাছুটি করতে দেখেন গ্রামবাসীরা। তাদের এক জন এনামুল প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের একটা বাড়িতে ঢুকে পড়ে। তাকে সেই বাড়ির লোক জন আটকে রাখেন। পিস্তল হাতে অন্য দুষ্কৃতী অবশ্য পালিয়ে যায়। গোপালেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও করিমপুর-১ পঞ্চায়েতের সদস্য কংগ্রেসের মিনাজউদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘গোপালেরপাড়া গ্রামটি করিমপুর থানার মধ্যে পড়ে। তাই আমরা এই ঘটনার পরে করিমপুর থানায় খবর দিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখি একটা মোটর সাইকেলে চেপে এসে দু’জন লোক নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে এনামুলকে নিয়ে যেতে চাইছে। তাদের পুলিশের পোশাক নেই, গাড়িও নেই। ওঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। গ্রামবাসীরা পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে ওরা পিস্তল বের করেন। এর পর গ্রামবাসীরা ওদেরও আটকে রাখেন।’’ পরে অবশ্য বোঝা যায় তাঁরা পুলিশকর্মীই ছিলেন। পুলিশ কেন গাড়ি না নিয়ে সাদা পোশাকে এসেছিল আর কেনই বা করিমপুর থানা এলাকায় মুরুটিয়া থানার পুলিশ ঢুকেছিল তা নিয়ে গ্রামের মানুষ গণস্বাক্ষর করে করিমপুর থানায় ওই দুই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, যে দুষ্কৃতী পালিয়ে গিয়েছে তার নাম সাগর আলি খান। বাড়ি মুরুটিয়ার খানপুরে। ধৃত এনামুল ও সাগর দুজনেই দুষ্কৃতী। করিমপুর ও মুরুটিয়ায় ওই দুজনের বিরুদ্ধেই চুরি ও ডাকাতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ আছে। ফলে দুই থানার পুলিশই ওদের খোঁজে ছিল। এ দিন গোপালেরপাড়াতে এক জন ধরা পড়েছে শুনেই মুরুটিয়া থানার দুই পুলিশ সেখানে চলে আসে। পরে দুই থানার ওসি ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশের দাবি, ওই দুই পুলিশকর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন না। তবে সাদা পোশাকে ওখানে যাওয়া যে ঠিক হয়নি সে কথা মেনে নিয়েছেন জেলা পুলিশের এক আধিকারিক। গোটা বিষয়টি নিয়ে মুরুটিয়ার ওসির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তেহট্টের এসডিপিও মলয় মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘গোপালেরপাড়ার ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ |