|
|
|
|
‘পরিবর্তনের হাওয়া’য় উড়ছে ঘুড়ি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘পরিবর্তনের হাওয়া’ চারদিকে। সেই হাওয়ায় এ বার তৃণমূলের প্রতীক সাঁটানো ঘুড়ির চাহিদাই বেশি! ঘুড়ির বিক্রিও হচ্ছে ভালই। সংক্রান্তির বাজারে তাই হাসি ফুটেছে মেদিনীপুর শহরের ঘুড়ি বিক্রেতাদের মুখে।
পৌষ সংক্রান্তির পরের দিন বড়াম পুজো। ওই দিন ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে মেদিনীপুর, খড়্গপুর শহর ও শহরতলির নানা জায়গাতেই। তবে, সংক্রান্তির দিনটাও বাদ রাখে না কচিকাঁচারা। সকাল থেকেই যেন উৎসবের মেজাজ। চলছে ঘুড়ি কাটাকুটির খেলা। মেদিনীপুর শহরের মীরবাজারে ঘুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন পঞ্চানন দাস। বেশ কয়েক বছর ধরেই এই ব্যবসা করছেন। পৌষ সংক্রান্তি এলেই ঘুড়ি পসরা সাজিয়ে বসেন। দোকানে নানা রঙের ঘুড়ি রয়েছে। তারই সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক সাঁটানো ঘুড়ি। লাল-সবুজ কাগজ কেটে প্রতীক বানিয়ে রেখেছেন তিনি। চাহিদা মতো সাদা ঘুড়িতে তা সাঁটিয়ে বিক্রি করছেন। পঞ্চাননবাবু বলেন, “এ বার ঘুড়ির বাজার খুব ভাল। এত ঘুড়ি বিক্রি হবে, ভাবতেই পারিনি। আসলে আবহাওয়াটা ভাল রয়েছে তো তাই। হাওয়া না-বইলে ঘুড়ি উড়িয়ে মজা নেই।” তিনিই জানালেন, অন্য রাজনৈতিক দলগুলির তুলনায় তৃণমূলের প্রতীক সাঁটানো ঘুড়িই বেশি বিক্রি হচ্ছে এ বার। এমনকী ছোট ছোট ছেলেরাও এসে ‘ঘাসফুল আঁকা’ ঘুড়ি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু মীরবাজারের এই ব্যবসায়ীই নন, এ বার ঘুড়ির বাজার ভাল বলে জানাচ্ছেন মিয়াবাজারের রাজকুমার খানও। তাঁর কথায়, “কাল রাত দু’টো পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে হয়েছে!” |
|
ছবি তুলেছেন রামপ্রসাদ সাউ। |
বছর দশ-বারো আগে অবশ্য ঘুড়ি নিয়ে মাতামাতিটা ছিল আরও বেশি। পৌষ সংক্রান্তির এক মাস আগে থেকেই ঘুড়ি ওড়ানো শুরু হয়ে যেত। মেদিনীপুরের বড়বাজার, মীরবাজার, মিয়াবাজার, স্কুলবাজার প্রভৃতি এলাকায় ঘুড়ি কিনতে ভিড় জমাত বালক-কিশোর থেকে শুরু করে বড়রাও। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে ঘুড়ি নিয়ে মাতামাতি কমেছে। এখন ঘুড়ি ওড়ানো ‘এক দিনের উৎসব’। এক ঘুড়ি ব্যবসায়ীর কথায়, “আসলে এখন হাতে সময় কম। কম্পিউটারের মাউস নিয়ে ব্যস্ত আজকালকার ছেলেমেয়েরা। তাদের উপর প্রত্যাশার চাপও বেড়ে চলেছে। এক মাস ধরে ঘুড়ি ওড়ানোর মতো সময় তাদের নেই।” এরই মধ্যে এ বার ঘুড়ির বাজার জেগে উঠেছে। বাড়ির ছাদে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন শহরবাসী। পরিষ্কার আকাশ আর হিমেল হাওয়ার কারণেই এই ‘পরিবর্তন’ বলে মত ঘুড়ি ব্যবসায়ীদের। রাজ্যে পালাবদল তাতে রাজনৈতিক রং চড়িয়েছে। |
|
|
|
|
|