বাণীবন বাজার থেকে কাটরা বাজার পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা বহু বছর ধরে বেহাল। পিচ উঠে রাস্তাটি এখন মোরামের বলেই মনে হয়। তালিতাপ্পি মেরেও বিশেষ লাভ হয়নি। রাস্তার ভাঙা অংশে জল জমে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয় বর্ষাকালে। মুমূর্ষু রোগীকে এই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই সমস্যার। উলুবেড়িয়া স্টেশন, পুরসভা, কোর্ট, স্কুল-কলেজ যেতেও ভরসা এই রাস্তাই।
আগে এই রাস্তা দিয়ে অটো-ট্রেকার চলত। বর্তমানে রাস্তা খারাপ হওয়ায় অটো-ট্রেকারের সংখ্যা কমেছে। কাটরা এলাকার বাসিন্দা উলুবেড়িয়া কলেজের ছাত্র বেনজির পারভিন জানালেন, প্রতি দিন হেঁটেই যাতায়াত করেন কলেজে। বহু বছর ধরেই রাস্তার এই হাল দেখে তাঁরা অভ্যস্ত। বললেন, “কখনও সখনও অটো পাই। না হলে হাঁটা ছাড়া গতি নেই।” এই এলাকারই বাসিন্দা কামরুখ জামান জানালেন, রাস্তা সারানোর দাবিতে আবেদন-নিবেদন করা হয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। স্থানীয় মানুষ বহু আন্দোলনও করেছেন। রাস্তায় ধানের চারা পুঁতেও প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। হাল ফেরেনি রাস্তার। ক্রমে ক্রমে রাস্তার পিচ পুরো উধাও।
বাণীবন পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপির অর্চনা রায় সমস্যার কথা বিলক্ষণ জানেন। বললেন, “রাস্তাটি নতুন করে তৈরি করা ছাড়া কোনও উপায় নেই। কিন্তু এত বড় রাস্তা নতুন করে তৈরি করার মতো সামর্থ্য পঞ্চায়েতের নেই।” এ ব্যাপারে জেলা পরিষদের পূর্ত আধিকারিক আনন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবত খারাপ। বহু দিন সংস্কার কাজ হয়নি। পঞ্চায়েত দফতর থেকে তিন বার টেন্ডার করা হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে টেন্ডার সম্পূর্ণ করা যায়নি।” রাস্তা সারানোর মতো টাকা এই মুহূর্তে জেলা পরিষদের হাতেও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে বাসিন্দাদের দুর্গতি শেষ হওয়ার কোনও লক্ষণই নেই আপাতত। |