পূর্ব মেদিনীপুরের সমুদ্র উপকূলের নবতম পযর্টন কেন্দ্র তাজপুরকেও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পষর্দের আওতায় আনার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাজপুরের সৈকত দেখে মুগ্ধ মুখ্যমন্ত্রী উপকূলের উপরে সমস্ত অবৈধ নির্মাণকাজ বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার দুপুরে দিঘা থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী তাজপুর সমুদ্র সৈকতে যান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দুই কেন্দ্রীয় উপমন্ত্রী শিশির অধিকারী ও মুকুল রায় ছাড়াও নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব দেবাশিস সেন, পযর্টন দফতরের প্রধান সচিব রাঘবেন্দ্র সিংহ, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক রাজীব কুমার ছিলেন। মুগ্ধ মুখ্যমন্ত্রী উপকূলে গড়ে ওঠা একাধিক হোটেল-লজ দেখে বিরক্তি প্রকাশ করেন। |
দিঘায় ‘সি ফুড ফেস্টিভ্যাল’।—নিজস্ব চিত্র |
সমুদ্র সৈকতে এই ধরনের নির্মাণের অনুমতি কারা দিচ্ছে জানতে চান। স্থানীয় তালগাছাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুমতিতে এই সব কাজ হচ্ছে জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দেবব্রত দাস ও বিডিও রানা বিশ্বাসকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে তাজপুরকে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের আওতায় আনতে হবে। স্থানীয় হোটেল মালিকেরা তাজপুরকে আধুনিক পযর্টন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার আবেদন জানাতে এলে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদেরও অবৈধ নির্মাণ বন্ধ রাখার কতা বলেন।
এ দিকে, শুক্রবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী দিঘা মোহনায় দিঘা ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সি ফুড ফেস্টিভ্যালে’ যান। গঙ্গোৎসবের পাশাপাশি সৈকত উৎসবকে পযর্টকদের কাছে আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য সামুদ্রিক ১৭০ রকমের মাছের পদ নিয়ে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রণবকুমার কর। মুখ্যমন্ত্রীর ৪৪ ঘণ্টার সফর শেষ হয়ে গেলেও দিঘার সৈকতে আনন্দোৎসবে বিরাম নেই। মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে রবিবার সাগর স্নান করতে হাজার-হাজার মানুষ ভিড় জমান সমুদ্র সৈকতে। |