ইতালীয় প্রমোদতরী কোস্টা কনকর্ডিয়ার ৪০ জন নিখোঁজ যাত্রীর খোঁজে এখনও অনুসন্ধান চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। শনিবার ইতালির পশ্চিম উপকূলের কাছে প্রায় ৪ হাজারের বেশি যাত্রী নিয়ে বালির চরে ধাক্কা মারে জাহাজটি। অবশ্য অধিকাংশ যাত্রীকেই রক্ষা করতে পেরেছেন উদ্ধারকারী দল। হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জাহাজের ক্যাপ্টেন।
শনিবার মাঝরাতে কোস্টা কনকর্ডিয়ায় আটক দুই যাত্রীর কথা জানতে পারেন উদ্ধারকারীরা। তাঁদের জাহাজ থেকে বের করে আনা হয়েছে। ওই দুই যাত্রী দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। উপকূলরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র লুসিয়ানো নিকাস্ত্রো জানিয়েছেন, জাহাজে আরও এক যাত্রী এখনও আটকে রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। কী ভাবে জাহাজটি তীরের খুব কাছে চলে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষোভ রয়েছে উদ্ধারকার্যে দেরি নিয়েও। শনিবারই জাহাজের ক্যাপ্টেন ফ্রান্সেসকো শেটিনোকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, জাহাজে দুর্ঘটনা ঘটানো এবং জাহাজ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে।
কোস্টা কনকর্ডিয়ার মালিক কোস্টা ক্রুজেজ। সংস্থার প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ওরোরাটো বলেছেন, “জলে ডোবা একটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল কনকর্ডিয়ার। যাত্রীদের বাঁচাতেই দ্রুত জাহাজের গতিপথ পরিবর্তন করেন ক্যাপ্টেন। কিন্তু টাল সামলানো যায়নি।” জাহাজের ক্যাপ্টেন শেটিনোর দাবি, ওই জলপথের কোনও নক্সায় ডোবা পাথরটির উল্লেখ নেই। উপকূলরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হলে এই দাবি সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব নয়।
|
আবার বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। আজ খানপুর শহরে একটি ধর্মীয় শোভাযাত্রায় বিস্ফোরণ ঘটলে নিহত হন ২০ জন। আহত আরও ২৮ জন। পুলিশ জানিয়েছে, একটি দেশি বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল বিস্ফোরণটিতে। রিমোট-চালিত ওই বোমাটি একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। শোভাযাত্রা ওই এলাকায় পৌঁছনোর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে বিস্ফোরণ। ওই শোভাযাত্রারই এক সদস্য, ইমরান ইকবাল জানান, “শোভাযাত্রার খুব কাছেই হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বহু মানুষ সেখানেই মারা যান।”
|
এক শিখ নাগরিককে পাগড়ি খুলতে বলে ফ্রান্স তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার রক্ষা সংগঠন এই রায় দিয়েছে বলে দাবি আমেরিকার একটি শিখ সংগঠনের। |