এক্স-রে ঘরে পিকনিকের ঘটনায় অবশেষে শো-কজ করা হয়েছে বালুরঘাট হাসপাতালের দুই চিকিৎসককে। ওই বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক প্রণব ঠাকুর বাছার এবং রেডিওলজিস্ট বিমলেশ জি বিমলকে শনিবার জেলাশাসকের নির্দেশে হাসপাতাল সুপার শো-কজের চিঠি দেন। পাশাপাশি হাসপাতালের ওয়ার্ডে হিটার কোথা থেকে কারা এনে রেখেছিলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুপার বলেন, “চিকিৎসক এবং অন্য কর্মীরা কর্তব্যের শর্ত ও দায়িত্বভঙ্গ করেছেন কেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না কেন, তা ৭২ ঘন্টার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।”
এ দিন দুই চিকিৎসক-সহ পিকনিক কাণ্ডে এক্স-রে বিভাগের ১১ জনকে শো কজ করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৭ জন এক্স-রে বিভাগের টেকনিশিয়ান (বিপুল সরকার, বিনয় শীল, সুভাষ সরকার, দুলাল কীর্তনীয়া, শুক্লা কুন্ডু, বিকাশ সরকার ও ইসমাইল হোসেন) এবং ২ জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী (শ্যামল ঘোষ ও প্রকৃতি চক্রবর্তী)। এ দিকে, তৃণমূলের তরফে পিকনিক-কাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট টাউন তৃণমূল সভাপতি অসিত রায় অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে, সেই সময়ে এ সব ঘটনা ঘটিয়ে দুর্নামের চেষ্টা চালাচ্ছেন একাংশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলন হবে বলে তিনি জানান। জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাগদালিনা মুর্মু বলেন, “ওই ঘটনার তদন্ত করছে স্বাস্থ্য দফতরের ৩ সদস্যের কমিটি। সোমবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট সভাধিপতির কাছে জমা পড়ার কথা।” সুপার বুদ্ধদেব মণ্ডল জানিয়েছেন, হিটার উদ্ধার হওয়ায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতি মাসে অন্তত ২০ হাজার টাকা বিদ্যুতের বিল সাশ্রয় হয়েছে।
|
হাসপাতালে চিকিৎসক নিগ্রহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এ বার চিকিৎসক নিগ্রহের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা হাসপাতাল এম আর বাঙুরে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শনিবার সন্ধ্যে সাড়ে ছ’টা নাগাদ মেডিসিন বিভাগের হাউসস্টাফ রূপক মণ্ডলকে বেধড়ক মারধর করেন এক রোগিণীর বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালের তরফে এ বিষয়ে একটি এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। শনিবারই হাসপাতালের ‘ফিমেল মেডিসিন’ ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন গ্যাসট্রাইটিসে আক্রান্ত ওই রোগিণী। হাসপাতাল সূত্রে দাবি, রোগিণীর আত্মীয়রা বারবার এসে ওই চিকিৎসককেই যেতে অনুরোধ করছিলেন। রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রূপকবাবু অন্য চিকিৎসককে পাঠাতে চাইলেও তাঁরা রাজি হননি। অভিযোগ, এর পরই দু’পক্ষে বাদানুবাদ বাধে এবং রূপকবাবুকে মারধর করেন রোগীর আত্মীয়েরা। তাঁর চোখ ও মুখে বেশি আঘাত লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। |