রাজ্য সরকার যদি পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনগণের কমিটি (পিসিএপিএ), ইউএসডিএফ এবং মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতিকে নিষিদ্ধ করে, তা হলে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটিকেও (বিইউপিসি) নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি তুলল এপিডিআর। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদ রায়চৌধুরী শনিবার বলেন, “যে সব সংগঠন তাঁর পরিবর্তনের ডাকে সাড়া দিয়ে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছিল, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন। মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে কোনও সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হলে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বাধীন বিইউপিসি-কেও নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, এই সংগঠনেরও তিন জন মাওবাদী সন্দেহে জেলে রয়েছেন।”
মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে পিসিএপিএ, ছাত্র সংগঠন ইউএসডিএফ এবং মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতিকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আইন ইউএপিএ-র ধারা অনুযায়ীই মাওবাদীদের সহযোগী হিসাবে ওই সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করতে চান মমতা। তবে মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এ দিনই মহাকরণে জানান, মাওবাদীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে রাজ্য সরকার কোনও গণ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ‘এখনও’ নেয়নি। তাঁর বক্তব্য, “পুলিশ-রিপোর্টে পাঠানো তথ্য বিচার করে এবং নথিপত্র পরীক্ষা করে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে-রকম কোনও রিপোর্ট এলে তখন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, পূর্বতন সরকারের আমলে মমতা রাজ্যের প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে জঙ্গলমহলে গিয়ে পিসিএপিএ নেতৃত্বের সঙ্গে সভা করেছিলেন। তখন পিসিএপিএ-র নেতা ছিলেন বর্তমানে জেলবন্দি ছত্রধর মাহাতো। এপিডিআরের সাধারণ সম্পাদক দেবপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, “মমতা এই সংগঠনগুলির সরকার-বিরোধী প্রতিবাদী চরিত্রের কথা জানেন বলেই সরকার-বিরোধী আন্দোলন বন্ধ করতে তাদের নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছেন।” পুলিশের সংগঠন করার অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে এপিডিআর। তারা প্রশ্ন তুলেছে, আইপিএসরা সংগঠন করতে পারলে নিচুতলার পুলিশ-কর্মীরা কেন করতে পারবেন না। |