মালবাজার শহর লাগোয়া গ্ল্যাঙ্কো চা বাগানে ঘুরে বেড়ানো তিনটি শাবককে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে গেল স্ত্রী চিতাবাঘটি। শুক্রবার সকাল থেকে চারটি চিতাবাঘের শাবক ওই চা বাগানে ঘুরে বেড়ানোয় এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। শনিবার সকালে দেখা যায় তিনটির মধ্যে একটিমাত্র শাবক রয়েছে। বনকর্মীদের সন্দেহ, মা চিতাবাঘই শাবক তিনটিকে সরিয়ে নিয়েছে। অন্যটিকেও সরিয়ে নেওয়া হবে বলেই মনে করছেন জলপাইগুড়ির ডিএফও কল্যাণ দাস। তিনি বলেন, “ওদের মা-ই তিনটি শাবককে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। চতুর্থ শাবকটিকে সরিয়ে নেবে বলে মনে হচ্ছে।”
শীতে প্রসবের সময়ে স্ত্রী চিতাবাঘ চা বাগান এলাকায় চলে আসে। সেখানে বাগানের নালাকেই তারা আঁতুরঘর হিসেবে বেছে নেয়। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এই সময়ে বাগানে প্রায়ই চিতাবাঘের থাবায় জখম কর্মীরা।
পাশাপাশি চিতাবাঘের উপরে হামলার ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার কাঠামবাড়ির বারোঘরিয়া এলাকায় যেমন চিতাবাঘটি জালে ধরা পড়ার আগে গ্রামের বাসিন্দারা সেটির উপরে হামলা চালায় বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বনকর্মীরা সেটি জাল দিয়ে ধরার পরে লাটাগুড়ি নেওয়ার পথে মারা যায়। গরুমারার পশুচিকিৎসক অনুপম রক্ষিত জানান, মৃত চিতাবাঘের মুখ রক্তাক্ত হয়েছিল। টাঙ্গি জাতীয় কিছু দিয়ে চিতাবাঘটির উপরে হামলা হয়েছিল বলে সন্দেহ করছেন তিনি। আজ, রবিবার ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাচ্ছেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, গ্রামের বাসিন্দাদের ধারাল অস্ত্রের আঘাতেই চিতাবাঘটির মৃত্যু হয়েছে।” ওদলাবাড়ির পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাস-এর সভাপতি দিলীপ বসাক এবং সহ সম্পাদক নাফসার আলি জানান, তাঁরা এই পুরো বিষয়ে বন দফতরকে দায়ী করতে চান না। বন্যপ্রাণি সম্পর্কে মানুষের অজ্ঞতাই এর জন্যে দায়ী বলে মনে করেন তাঁরা। |