দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত মিত্রশক্তির একটি বিমানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেল আসাম রাইফেলস্-এর জওয়ানরা। ত্রিপুরার ধলাই জেলার বীরমণি পাড়ার গভীর জঙ্গলে খোঁজ মিলেছে এই ‘ক্র্যাশ সাইট’-এর। জওয়ানরা বিমানের প্রপেলার উদ্ধার করেছে। ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়ায় আসাম রাইফেলস্-এর ৩৪ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের মুখপাত্র, মেজর শর্মা জানান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কিছু বিমান নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রধানত চিন, ভারত ও মায়ানমারের পার্বত্য অঞ্চলে বিমানগুলি নিখোঁজ হয়। খারাপ আবহাওয়া, যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য বিমানগুলি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বলে মনে করা হয়। ভারতের উত্তর-পূর্র্বাঞ্চলে, বিশেষ করে অরুণাচলে এ ধরনের ১৬টি ধ্বংসস্থল রয়েছে। পার্বত্য ত্রিপুরার মাটিতেও ভেঙে একটি বিমান ভেঙে পড়ার তথ্য তাঁরা ইন্টারনেটে খুঁজে পওয়া যায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে আসাম রাইফেলস্-এর ৩৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা ধ্বংসস্থলের সন্ধানে ত্রিপুরার বড়মুড়া, আঠারমুড়া ও লংতরাই পার্বত্য এলাকার জঙ্গলে অভিযান শুরু করে গত বছর সেপ্টেম্বরে। ঘটনাটি যে ১৯৪৫-এর সে নিয়ে কিছু তথ্য তাদের হাতে এসেছে। উদ্ধার বিস্ফোরক, এড়াল প্রাণহানি। গুয়াহাটির সংবাদদাতা জানান: চলন্ত বাইক থেকে ভরা বাজার এলাকায় বোমা ফেলে পালাল জঙ্গিরা। বাসিন্দাদের তৎপরতায় বড় প্রাণহানি থেকে বাঁচল গোরেশ্বর বাজার। পুলিশ জানায়, অসমের বাক্সার জেলার গোরেশ্বর এলাকার বাজারে আজ ২ বাইক আরোহী যুবক হাজির হয়। বাসিন্দারা বাইক থেকে তাদের কিছু নামাতে দেখে। ধাওয়া করলে তারা পালায়। খবর পেয়ে সিআরপি এলাকায় এসে বাইক আরোহীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগটি উদ্ধার করে।
|
কনকনে শীতে জবুথবু কাশ্মীর। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বহু দিন আগেই নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের নীচে। তবে শ্রীনগরের আবহাওয়া দফতরের এক অফিসার আজ জানিয়েছেন এখানকার দিনের তাপমাত্রা উঠেছে হিমাঙ্কের সামান্য উপরে। এ দিন শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। উপত্যকার শীতলতম অঞ্চল গুলমার্গ। গত রাতে গুলমার্গের তাপমাত্রা নেমে যায় শূন্যের থেকে ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। কার্গিলের তাপমাত্রা অবশ্য রাজ্যের মধ্যে সব চেয়ে কম, শূন্যের ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। লেহ্’র তাপমাত্রাও ঘোরাফেরা করছে এর আশপাশেই। অত্যধিক ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগও। শীতে জল জমে যাওয়ায় বিঘ্নিত হয়েছে জল সরবরাহ ব্যবস্থা। ডাল লেকের বহু অংশেও জল বরফ হয়ে গিয়েছে। তবে এই বরফ খুব একটা শক্ত নয় বলে প্রশাসনের তরফ থেকে মানুষকে তার উপর দিয়ে না হাঁটতে সতর্ক করা হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায়। কাশ্মীরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র উপায় ২৯৬ কিমি দীর্ঘ এই রাস্তা। পাহাড়ি রাস্তার বহু জায়গায় ধস নামায় এখানে আটকে রয়েছে প্রচুর যানবাহন।
|
মধ্যপ্রদেশের হুসেন টেকরিতে পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন কমপক্ষে দশ জন। আহত অনেকে। গত রাতে মুসলিম পরব চেল্লাম উপলক্ষে হুসেন টেকরির মূল ফটকের সামনে জড়ো হয়েছিলেন বহু পুণ্যার্থী। ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ জনতাকে পিছন দিকে ঠেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ছ’জন মহিলা। দশ জনের দেহ এক জায়গায় পাওয়া গেলেও আরও দু’জনের দেহ মিলেছে একটু দূরে। পুলিশের অনুমান, পদপিষ্ট হয়ে নয়, অত্যধিক ঠান্ডায় মারা গিয়েছেন তাঁরা। হুসেন টেকরির ঘটনায় আহতদের নিখরচায় চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। রতলামের জেলাশাসক নিহতদের দশ হাজার টাকা করে এককালীন সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন।
|
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জে দুটি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও দুই। গত রাতে শঙ্খভাগ অঞ্চলে একটি মোটরবাইক রাস্তার পাশের একটি গাছে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিন আরোহী। পুলিশ জানিয়েছে, এঁদের সকলেরই বয়স তিরিশের কোঠায়। অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে, মঞ্চবন্ধের কাছে। এখানে দুটি মোটরবোইকের মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
|
ঝাড়খন্ডে লাইনচ্যুত হল কলকাতা থেকে ছাড়া অজমেঢ় শরিফ এক্সপ্রেস। তবে কেউ হতাহত হয়নি। রেল সূত্রের খবর, সন্ধে ৬টা নাগাদ ধানবাদ স্টেশন ছাড়ার কিছুক্ষণ পরেই ট্রেনটির দু’টি সাধারণ কামরা লাইনচ্যুত হয়। ধানবাদ ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক অমরেন্দ্র দাস বলেন, “ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় কামরা দু’টি লাইনে তোলা হয়। সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রেনটি ফের রওনা হয়ে যায়।” |