|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
বইপাড়াকে ছাড়াইয়া যাওয়া চাই |
বইপোকা |
গত সংখ্যায় লিখিয়াছিলাম, বইপাড়ার বিপণনবুদ্ধি খুলে নাই। বস্তুত সেই বুদ্ধির সবচেয়ে বড় পরিচয় বইপাড়াটিকে অতিক্রম করিয়া যাওয়া। অর্থাৎ, পাঠক-ক্রেতা বর্ষে বর্ষে দলে দলে গ্রন্থের সন্ধানে ভিড় জমাইবেন কলেজ স্ট্রিট বইপাড়া-নামক ঘিঞ্জি, দমবন্ধকরা এক পরিসরে এই প্রত্যাশাটি বিসর্জন দিতে হইবে। প্রকাশককেই পৌঁছিতে হইবে পাঠকের নিকট। কেবল গ্রন্থের সংবাদ লইয়া নহে, গ্রন্থ লইয়াই। কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার বিপুল বপুর তুলনায় ক্ষীণ, অতি ক্ষীণ রূপে সেই প্রয়াস সম্প্রতি লক্ষ করা যাইতেছে, ইহা আনন্দ-সংবাদ। সম্প্রতি মধ্য কলকাতা হইতে মারহাট্টা খাল পার হইয়া ডানলপে আনন্দ পাবলিশার্সের একটি নূতন বিপণির উদ্বোধন হইল। কলিকাতার বাহিরেও তাহার বিপণির সূচনা হইয়াছে সাম্প্রতিক অতীতে। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড চালু করিয়াছে ‘তোমার আমার বইমেলা’। এই প্রকল্পে বড় বড় আবাসনে বইমেলার আয়োজন করিতেছে গিল্ড। স্বাগত। ইন্টারনেটেও কতিপয় প্রকাশকের গ্রন্থ ক্রয় করিতে পারা যাইতেছে। শুভ সংবাদ, সন্দেহ নাই। কিন্তু মনে রাখিতে হইবে, প্রক্রিয়াটি নিরন্তর, বস্তুত তাহা একটি নিবেদিত কর্মীদলের অপেক্ষা রাখে। বাংলা বইয়ের বিক্রি ইংরাজি বইয়ের বিক্রির ধারেকাছেও নহে, সুতরাং অর্থাভাব থাকিবেই। তবু যোগ্য বিপণনের অভাবে অর্থাভাব, নাকি অর্থাভাবের কারণেই যোগ্য বিপণনের অভাব এই কূটে কূপমণ্ডূক হইয়া না থাকিয়া প্রয়াসটি চালাইয়া যাইতে হইবে। তাহা যদি সম্ভব হয়, তবেই আলো ক্রমে আসিবে। |
|
|
|
|
|