|
|
|
|
পরপর বাসে লুঠ, অবরোধ সারেঙ্গায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • সারেঙ্গা |
রাস্তায় গাছ ফেলে পর পর তিনটি বাসে লুঠপাট চালাল দুষ্কৃতীরা। যাত্রীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে সারেঙ্গার তাঁতিডাঙা জঙ্গলে, পিড়রগাড়ি-সারেঙ্গা রাস্তায়। ঘটনার পরেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ভোর ৫টা থেকে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবরোধ করেন যাত্রীরা। পরে অবরোধে সামিল হন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ ওই রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের ব্যাপারে পুলিশ সুপারের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে বেলা ১১টা নাগাদ অবরোধ উঠে।
পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “কাড়ভাঙা থেকে তাঁতিডাঙা’র জঙ্গল পর্যন্ত রাস্তায় সারারাত পুলিশের টহলদারি ভ্যান ছিল।” তাঁর দাবি, “ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ তাঁতিডাঙার জঙ্গল থেকে কাড়ভাঙার জঙ্গলের রাস্তায় চলে যাওয়ার পরেই ঘটনাটি ঘটেছে।” |
|
ছবি: উমাকান্ত ধর। |
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সারেঙ্গার পণ্ডিত রঘুনাথমুর্মু স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের হস্টেলের ৮৬ জন ছাত্র দু’টি বাসে পুরী থেকে ফিরছিলেন। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ তাঁতিডাঙার জঙ্গলে রাস্তায় গাছ ফেলে বাস দু’টিকে আটকায় ৫-৬ জনের দুষ্কৃতীদের দল। এর পরে তারা বল্লম, ভোজালি, পিস্তল নিয়ে বাসে উঠে ছাত্রদের কাছ থেকে টাকা, মোবাইল কেড়ে নেয়। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে আসছিল হাওড়াগামী একটি বাস। পরিস্থিতি আন্দাজ করে কিছুটা আগে বাস ঘোরানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় চালক। ওই বাসেও দুষ্কৃতীরা লুঠপাট চালায়, মারধর করে। কলাবিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সুনীল হেমব্রম, প্রসেনজিৎ হেমব্রম বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গাড়ি থামতেই ঘুম ভাঙে। দেখি চার-পাঁচ জন ভোজালি, বল্লম, পিস্তল দেখিয়ে বস বের করে দিতে বলে।” হাওড়াগামী বাসের যাত্রী আমঝোড় গ্রামের বাসিন্দা শক্তিপদ পাত্র বলেন, “বিপদ বুঝে চালক বাস ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল। সফল হয়নি। তিন যুবক বাসে উঠে অস্ত্র দেখিয়ে ১৩ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল বের করে নেয়। তার পরে তারা জঙ্গলের দিকে চলে যায়।”
যাত্রীদের দাবি, টাকা দিতে দেরি করায় তারা মারধরও করেছে। সকাল ৬টা নাগাদ পুলিশ আসে। পরে সারেঙ্গা থানার আইসি বিপ্লব দে গিয়ে দুষ্কৃতীদের ধরার ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও অবরোধ ওঠেনি। শেষ পর্যন্ত বাঁকুড়া পুলিশ সুপার প্রণব কুমার, এসডিপিও (খাতড়া) নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরেই অবরোধ ওঠে। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চাননি পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, “ইতিপূর্বে বেশ কয়েক জন ছিতাইবাজকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুষ্কৃতী দলটিকে চিহ্নিত করে ধরার চেষ্টা চলছে।” |
|
|
|
|
|