সংস্কারের অভাবে কান্দি পুর এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। নালায় জমে থাকা আর্বজনা নিয়মিত না তোলায় জল জমে যায়। গত বর্ষার প্রচুর বৃষ্টিপাতে নোংরা জলে নিকাশি নালা উপচে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হাঁটাচলাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শহরে প্রচুর নতুন বাড়ি তৈরি হয়েছে। কিন্তু যথাযথ নিকাশির ব্যবস্থা করা হয়নি। অথচ পুরসভাকে আমাদের নিয়মিত কর দিতে হয়। কান্দি পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি রোড এলাকায় এখনও নিকাশি ব্যবস্থা গড়েই ওঠেনি। ফলে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। কেবল নিকাশিই নয়, বিশুদ্ধ পানীয় জলেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই এই শহরে। ওই সঙ্কট দূর করতে কান্দিতে তিনটি জলাধার তৈরির কাজ চলছে অনেক দিন ধরে। বহরমপুরের ভাগীরথী থেকে ওই জলাধারে জল যাবে। তার পর ওই জল বিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হবে। কিন্তু কাজের যা শম্বুক গতি, তাতে কবে যে ওই জল গৃহস্থের বাড়ি পৌঁছবে সেটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। তাই কাজের গতি বাড়ানোর জন্য কান্দির পুরপ্রধান ও স্থানীয় বিধায়কের কাছে অনুরোধ জানাই। অনুরোধ জানাই সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য।
অময় চক্রবর্তী, কান্দি
|
মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যটন শিল্পের সম্ভবনা নিয়ে বিষাণ গুপ্তের চিঠিটি পড়লাম। তাঁর উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু ওই চিঠিতে একটি তথ্যগত ভুল রয়েছে। তিনি লিখেছেন, “প্রয়াত বরেণ্য শিল্পী তাপস সেনের নির্দেশনায় দিল্লির লালকেল্লায় ‘ধ্বনি ও আলো’র অসামান্য প্রয়োগে মুঘল যুগের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের কিছু অধ্যায় উপস্থাপিত হয়। তা বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম ঘটায়। উর্দু ও ইংরেজি ভাষায় সমগ্র অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, ধারাভাষ্য ও উপস্থাপনা বড়ই উপভোগ্য ও রোমাঞ্চকর।” শ্রদ্ধেয় শিল্পী তাপস সেন দিল্লির লালকেল্লার ‘ধ্বনি ও আলো’র ওই প্রযোজনার নির্দেশনার দায়িত্বে ছিলেন না। ওই ‘ধ্বনি ও আলো’র হিন্দি স্ক্রিপ্ট লেখেন আলি সর্দার জাফরি ও ইংরেজি স্ক্রিপ্ট লেখেন খুশবন্ত সিংহ। সঙ্গীত পরিচালনা করেন ওস্তাদ আলি আকবর খা।ঁ আলোর দায়িত্বে ছিলেন পিএন শ্রীনিবাসন। নির্দেশক চলচ্চিত্র জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব চেতন আনন্দ। ১৯৬৫ সালের ২২ মার্চ দিল্লির লালকেল্লায় ‘আলো ও ধ্বনি’র ওই প্রযোজনাটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী।
শান্তনু বিশ্বাস, লালবাগ
|
জিয়াগঞ্জ-বহরমপুর রুটে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার (এন বি এস টি সি) একটি যাত্রীবাহী বাস বছর তিনেক আগে চালু হয়। তাতে যাত্রীদের উপকারের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থারও আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই রুটে প্রতিদিন অনেক নিত্যযাত্রী যাতায়াত করেন। ফলে ওই একটি বাস প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত।তাই লাভজনক ওই রুটে আরও একটি সরকারি বাস চালু করার জন্য উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাই।
ছোটন গোস্বামী, জিয়াগঞ্জ |