উত্তর কলকাতা
গন্তব্য ঠাকুরবাড়ি
পথে চলাই দায়...
বীন্দ্রনাথের জন্ম সার্ধ-শতবর্ষ। অথচ হেরিটেজ হিসাবে ঘোষিত রবীন্দ্রনাথের বাড়ি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি যাওয়ার একটি রাস্তা মদন চ্যাটার্জি লেন যানজট এবং ফুটপাথ দখলের ফলে কার্যত অগম্য হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। ওই রাস্তা দিয়েই দেশ-বিদেশ থেকে প্রতি দিন বহু মানুষ আসেন ঠাকুরবাড়ি দেখতে।
চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে রাস্তাটি ঢুকে গিয়েছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির দিকে। সেটি গিয়ে মিলেছে রবীন্দ্র সরণিতে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ থেকে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি ঢোকার মুখে কয়েক বছর আগে একটি বড় গেট তৈরি করা হয়েছিল ঠাকুরবাড়ির দিক নির্দেশের জন্য। কিন্তু ওই গেট থেকে শুরু করে রবীন্দ্র সরণি পর্যন্ত পুরো রাস্তাতেই যানবাহন জট পাকিয়ে থাকে প্রায় সারা দিন।
এই রাস্তার দু’পাশে ফুটপাথ বলতে রাস্তার বড়জোর দু’ফুট করে জায়গা। কিন্তু সেই জায়গাও ফুটপাথবাসীর দখলে। সেখানেই চলেছে রান্না, খাওয়া-দাওয়া, থাকা। ফুটপাথের উপরই দড়ি টাঙিয়ে শুকোচ্ছে জামাকাপড়। কোথাও ছোট ছোট গুমটি। রাস্তাটি খুব একটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নও নয়। তবে ঠাকুরবাড়িতে কোনও ভিআইপি এলে আগের দিন রাস্তায় কিছু ফেলতে বারণ করা হয় বলে স্থানীয় এক চায়ের দোকানদার জানালেন।
আবার ঠাকুরবাড়ি ঢোকার পিছনের যে গেট তার আগে পুরসভার কল। সেখানে চলছে স্নান করা, কাপড় কাচা। কলটি থেকে সারা দিন জল পড়ে যায়। সেই জল ফুটপাথ ছাড়িয়ে রাস্তায় জমছে। প্রবেশপথটুকু বাদ দিলে তার বাইরে যেটুকু চওড়া জায়গা সাধারণ পথচারীদের জন্য রাখা হয়েছিল তাও এখন বেদখল। সেখানে ফুটপাথবাসীদের আস্তানা বা নানা দোকান।
অন্য দিকে রাস্তার বাঁ হাতে মাত্র পাঁচটি পার্কিং অনুমতি থাকলেও সারি সারি গাড়ি পার্ক করানো। রাস্তাটি একমুখীও করা হয়নি। ফলে ওইটুকু রাস্তা দিয়েই উভয় দিকে গাড়ি, ম্যাটাডর, সাইকেল, বাইক, টানা রিকশ, ভ্যান সবই চলছে। এরই মাঝে ফুটপাথ কার্যত না-থাকায় পথচারীরও ভিড়।
এলাকার কাউন্সিলর তথা বিধায়ক তৃণমূলের স্মিতা বক্সি বলেন, “রাস্তা প্রতি দিনই পরিষ্কার করা হয়। আর ফুটপাথবাসীরা বহু দিন ধরে বসবাস করায় হঠাৎ তুলব বললেই তোলা যায় না। কোনও পদক্ষেপ করতে হলে পুরসভা এবং প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” অন্য দিকে মেয়র পারিষদ (পার্কিং) রাজীব দেব বলেন, “ওই এলাকায় যে বিশৃঙ্খল অবস্থা তা বহু পুরনো। বর্তমানে কোনও পদক্ষেপ করতে হলে একটু সময় লাগবে। আমি সব জানলাম। কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় খতিয়ে দেখছি।”

ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য




অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.