শুক্রবার থেকে মাওবাদী অধ্যূষিত এলাকা দিয়ে ফের রাতের ট্রেন চালু হচ্ছে। তার আগে নাশকতার হুমকি দিয়ে বেশ ক’টি চিঠি এসেছে বিহারের রেল পুলিশের হাতে।
রেলপথে নাশকতা মাওবাদীরা এর আগে কম করেনি। কিন্তু কখনওই আগাম নোটিস দিয়ে নয়। কিন্তু এ বার রঘু ডাকাতের মতো আগাম হুমকি কেন দিচ্ছে মাওবাদীরা? তা নিয়েই বিভ্রান্ত পুলিশ। তাদের প্রশ্ন, সত্যিই কি মাওবাদীরা হুমকি দিচ্ছে, নাকি অন্য কোনও স্বার্থাণ্বেষী মহল আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে?
পূর্ব চম্পারণ ও তার আশপাশের কয়েকটি জেলায় রেল স্টেশন ও লাইনে নাশকতা করা হবে বলে মাওবাদীদের নামে বেশ কয়েকটি হুমকি-চিঠি কিছু দিন আগে পুলিশের হাতে আসে। জারি করা হয় উচ্চ সতর্কতা। তবে এখনও ওই এলাকায় কোনও নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। তার পরে এ বার শোনপুর ডিভিশনে নাশকতার হুমকি দিয়ে চিঠি এসেছে। রেল পুলিশ সূত্রে জানা হয়েছে, রেলের সদর দফতর হাজিপুরে মুখ্য নিরাপত্তা কমিশনার এবং আরপিএফের কম্যান্ডান্টের কাছে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ২৬ জানুয়ারি কর্পূরি হল্ট স্টেশনে নাশকতা ঘটানো হবে। দলের মহিলা সংগঠনকে এই বাপারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি-চিঠি আদৌ মাওবাদীরা পাঠিয়েছে কি না, তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে রেল পুলিশ জানিয়েছে। |
কয়েক দিন আগে পূর্ব চম্পারণ জেলায় এ রকমই হুমকি পেয়ে প্রশাসন সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়। ২৬ জানুয়ারি ওই হল্ট স্টেশনে নাশকতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা। মাওবাদী মহিলা স্কোয়াডের দল ওই এলাকায় ঢুকে পড়ছে বলে খবর। কপালেশ্বেরী ঠাকুর এবং শীলা নামে জোনাল স্কোয়াডের ওই দুই মহিলার নেতৃত্বে দলটি নাশকতা চালাতে বলে ‘খবর’ পাওয়া গিয়েছে। রেলের সহকারি নিরাপত্তা কমিশনার আর কে শর্মা জানান, “ওই দু’জনের নামে আমাদের কাছে খবর এসেছে। সত্যতা যাচাই হচ্ছে।” আরপিএফ কম্যান্ডান্ট এস এন আর্য বলেন, “আমরা মাওবাদীদের নামে হুমকি-চিঠি পেয়েছি। চিঠির সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। হুমকি যখন এসেছে, সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে।”
তবে রাজ্য পুলিশ এবং রেল পুলিশের কর্তারা মনে করছেন, মাওবাদীদের ‘মোড অফ অপারেন্ডি’ বা কাজের ধারা এমন নয়। তারা আচমকাই আঘাত হানে। তা হলে কে বা কারা এই চিঠি পাঠাচ্ছে? পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |