|
|
|
|
জমি-জট জোটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
জমি দখলের অভিযোগকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে শিলিগুড়িতে। মাটিগাড়া এলাকায় সরকারি জমি জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেসের একদল সমর্থকের বিরুদ্ধে। স্থানীয় ক্লাবকে সামনে রেখে তৃণমূল কর্মীরা নকশালবাড়ির কংগ্রেস সমর্থকের জমি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। দু’পক্ষেরই অভিযোগ, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের পদক্ষেপ করার আর্জি জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শিলিগুড়ি মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক নওয়াং দোরজে শেরপা জানিয়েছেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “মাটিগাড়ার বানিয়াখাড়ি এলাকায় জমি দখলের অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যত্রও তদন্ত করা হবে।” জমি দখলের অভিযোগ পেয়ে উদ্বিগ্ন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, দফতরের আধিকারিকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। প্রশাসনকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকারও। তিনি বলেন, “আমাদের দলের কর্মীরা জমি দখলে জড়িত এই অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভাবে প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।” তৃণমূলের অভিযোগ, মাটিগাড়া ব্লকের বালাসন নদীর পাড়ে নিমাই জোত এলাকায় কংগ্রেসের সমর্থকেরা সরকারি জমি দখল করে বিক্রি করছেন। জমি দখল নিয়ে ওই এলাকায় প্রায়ই গোলমালের ঘটনাও ঘটছে। দলের পাথরঘাটা অঞ্চল কমিটির নেতা ভবেশ মোহান্ত বলেন, “এলাকার নিমাইজোত, পাঁচকেলগুড়ি, বানিয়াখাড়ি এলাকায় একের পর এক জমি দখল হচ্ছে। সেই জমি আবার দলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার পরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাধা দিতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছে।” চম্পাসারি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, দার্জিলিং মোড় গ্যাস গুদাম এলাকায় শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) জমি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। এসজেডিএ-র তৈরি আবাসনও দখলের চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের চম্পাসারির নেতা সঞ্জয় দেব। সংগঠনের পক্ষ থেকে এসজেডিএতে অভিযোগ জানানোর পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এই এলাকার অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি সুকুমার বৈদ্য দাবি করেছেন, “জমি দখলের ঘটনায় তাঁদের দলের কোনও কর্মী জড়িত নন। সুকুমারবাবু বলেন, “জমির দালালরা জমি দখল করছে। এই কাজে তাঁরা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করছে। আলাদা করে কংগ্রেসের নামে অভিযোগ তোলা উচিত নয়।” কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নকশালবাড়িতে জমি দখলের পাল্টা অভিযোগ তোলা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এলাকার একটি ক্লাবকে সামনে রেখে তৃণমূল তাঁদের এক সমর্থকের জমি দখল করেছে। ওই কংগ্রেস সমর্থককে বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বন কর্মাধ্যক্ষ কংগ্রেসের সুনীল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল নেতাদের ঘটনাটি জানানোর পরেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।” তৃণমূলের নকশালবাড়ির অঞ্চল সমিতির সভাপতি তপন কুণ্ডু বলেন, “ওই ক্লাবের পক্ষ থেকে পূর্ত দফতরের জমিতে ঘর তৈরি করা হয়েছে। জমি দখল হয়নি। বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” |
|
|
|
|
|