|
|
|
|
আলিয়ার নামে ‘মুসলিম’ যোগ চায় সরকারি কমিটি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
‘মাদ্রাসা’ নয় ‘মুসলিম’। রাজ্যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ না জুড়ে ‘মুসলিম’ কথাটি যোগ করার পক্ষপাতী সরকার নিযুক্ত চার সদস্যের কমিটি। তবে সুপারিশ চূড়ান্ত করতে তাঁরা আরও আলোচনা চান।
রাজ্য বিধানসভায় ২০০৭-এ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাশ হয়। পরের বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করে। কিন্তু নাম বদল করে ‘আলিয়া মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়’ করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন। ২০১০-এর ২৭ ডিসেম্বর আন্দোলনকারীরা অনশন শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়ার পরের দিন, অর্থাৎ ২১ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, বিধানসভা খুললে একটা ছোট্ট সংশোধনী এনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ কথাটি যুক্ত করা হবে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পথে নামেন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল ছাত্রছাত্রী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মাদ্রাসা জুড়ে দিলে চাকরির বাজারে তাঁরা গুরুত্ব হারাবেন। বিদ্বজ্জনেদের অনেকেই জানিয়েছিলেন, মাদ্রাসা কথার অর্থ বিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে একে যুক্ত করা হাস্যকর।
সম্প্রতি রাজারহাটে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘মাদ্রাসা’ যুক্ত করার দাবিতে হইচই শুরু করেন এক দল যুবক। অস্বস্তিতে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে ‘এম’ শব্দটি যোগ করা যেতেই পারে। তাঁর কথায়, “এম মানে মাদ্রাসা-মুসলিম-মুমতাজ, যে কোনও কিছুই হতে পারে।”
তবে বিষয়টি বিবেচনা করে সুপারিশ করার জন্য চার সদস্যের কমিটি গড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই চার সদস্য ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম, টিপু সুলতান মসজিদের শাহি ইমাম এস এম এন আর বরকতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী হায়দার আজিজ সফি বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন।
পরে ত্বহা সিদ্দিকি বলেন, “আমরা প্রাথমিক ভাবে ঠিক করেছি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হোক ‘আলিয়া মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’। তবে আরও কিছু ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই।”
স্বাধীনতার পর এ রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে গড়া কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে কোনও সম্প্রদায়ের নাম যুক্ত করা হয়নি। তা হলে ‘আলিয়া মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ কেন হবে? ত্বহা সিদ্দিকির সংক্ষিপ্ত জবাব, “হলেই বা ক্ষতি কী?” তাঁদের পছন্দের নাম নিয়েও যে সংখ্যালঘুদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে, পীরজাদা অবশ্য সে কথা স্বীকার করেছেন। |
|
|
|
|
|