|
|
|
|
সাত সাহসীকে বিবেক পুরস্কার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বৃহস্পতিবার স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মজয়ন্তীর দিন ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল উৎসবের মঞ্চে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সমাজকর্মী, ক্রীড়াবিদ, অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রী, শারীরিক প্রতিবন্ধী মিলিয়ে ৫০ জনকে ‘বিবেক পুরস্কার’ দিয়ে সম্মানিত করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বারই প্রবর্তিত হল এই পুরস্কার। সাহসিকতার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে ৭ জন বিবেক পুরস্কার পেয়েছেন। পুরস্কৃতরা হলেন বাসন্তী মাহাতো, ভোলানাথ রায়, ধনঞ্জয় খামরি, আকাশ মল্লিক, শুভ্রকমল প্রামাণিক, কঙ্কন সাউ ও মন্টু কুইল্যা। বাসন্তীদেবীর বাড়ি সাঁকরাইলের কিসমত ধানঘোরির কেন্দডাংরি গ্রামে। ২০১০-এর ২৫ জুলাই মাওবাদীদের হাতে খুন হন তাঁর স্বামী হেমন্ত মাহাতো। এর পর থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে কোনও ভাবে সংসার চালাচ্ছেন বাসন্তীদেবী। তার মধ্যেই নিজের গ্রামে মাওবাদী-বিরোধী প্রচার গড়ে তুলেছেন। ভোলানাথের বাড়ি মেদিনীপুর সদর ব্লকের হরিশপুরে। ২০০৭-এর বন্যার সময়ে কালভার্ট ও গাছে আশ্রয় নেওয়া বিপন্ন ৯ জনকে বাঁচিয়েছিলেন ভোলানাথ। বছর ষাটেকের ধনঞ্জয়বাবুর বাড়ি গোপীবল্লভপুরের আলমপুরে। ২০০৯-এ সুবর্ণরেখা নদীতে ভেসে যাওয়া ৭ মহিলাকে উদ্ধার করেছিলেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। আকাশের বাড়ি জামবনির যুগিবাঁধে। ২০১১-র ডিসেম্বরে একটি জ্বলন্ত পিক-আপ ভ্যান থেকে ১০ যাত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন এই তরুণ। শুভ্রকমল, কঙ্কন ও মন্টুর বাড়িও জামবনিতে, চিচিড়া গ্রামে। তিন জন মিলে ২০০৭-এ খরস্রোতা ডুলুং নদী থেকে বিপন্ন ৭ জনকে উদ্ধার করেছিলেন। সাত সাহসীর হাতে স্মারক ও পুরস্কারের চেক তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|