দুই বাড়িতে ডাকাতি জগদ্দলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জগদ্দল |
অস্ত্র নিয়ে ঢুকে জগদ্দলের স্থিরপাড়ার দু’টি বাড়ি থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার ভোরের ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন দুষ্কৃতী প্রথমে হানা দেয় চটকল কর্মী সুকুমার মিস্ত্রির বাড়িতে। হানা দেওয়ার আগে তারা কিছুক্ষণ ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। রাতের ‘ডিউটি’ সেরে সুকুমারবাবু হেঁটে ফিরছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর কাছে নিজেদের নৈহপ্রহরী হিসাবে পরিচয় দেয়। তার পরে সুকুমারবাবুর সঙ্গে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত গিয়ে অস্ত্র বের করে। সেখানে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে আরও তিন জন যোগ দেয়। ঘরে ঢুকে সুকুমারবাবুকে চড়-থাপ্পড় মারে তারা। বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হন সুকুমারবাবু ছেলে শুকলাল। দুষ্কৃতীরা তাঁদের আলমারি খুলে নগদ টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে পাশে যোগিন্দর পাসোয়ানের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানেও টাকা ও গয়না হাতিয়ে তারা চম্পট দেয়। দুই পরিবারের তরফেই জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিকে, নোয়াপাড়ার আশুতোষ নগরে ডাকাতির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে, ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে জেলা পুলিশের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ। দু’টি ডাকাতিতে দুষ্কৃতীদের একই দল জড়িত কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
|
খুনিদের শাস্তি চেয়ে হামলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
টিটাগড়ের ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমানের হত্যাকাণ্ডে দোষীদের শাস্তির দাবিতে নিহতের কিছু আত্মীয় এবং পরিচিত কয়েক জন সম্প্রতি ওই এলাকায় হামলা চালায়। অভিযোগ, কয়েকটি বাড়িতে তলোয়ার নিয়ে হামলা করে তারা। দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা হয়। পুলিশ গেলে তাদের গাড়ির কাচও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের গাড়ির এক চালক আহত হন। হামলাকারীদের অভিযোগ, পুলিশ দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ এক ব্যক্তির মৃতদেহ বৃহস্পতিবার মিলল সুন্দরবনের দুর্গাদোয়ানি নদীতে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম গণপতি বাছার (৩০)। তিনি কলকাতার তিলজলার ভিআইপি বাজারের বাসিন্দা। গত শনিবার ২৫ জনের একটি দলের সঙ্গে তিনি সুন্দরবন বেড়াতে আসেন। ওই রাতে সোনাগাঁওয়ের কাছে ভুটভুটির ছাদ থেকে ওই নদীতে পড়ে যান। বৃহস্পতিবার দুপুরে গোসাবার দুলকির কাছে ওই নদীতেই দেহটি ভাসতে দেখেন মৎস্যজীবীরা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। তাঁরা এসে দেহটি শনাক্ত করেন।
|
ম্যাটাডর নিয়ে এসে ডাকাতি করে মালপত্র লুঠ করত তারা। বাধা দিলে মারধরও করত। কয়েকটি কারখানায় পরপর এমন ডাকাতির পরে সেই দলটিকে ধরল বারাসত মহকুমা পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজত দেয় বারাসত আদালত। পুলিশ জানায়, মাসখানেক ধরে কলকাতা শহরতলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, আমডাঙা-সহ কয়েকটি এলাকার কারখানায় হানা দিয়ে লুঠপাট চালায় ডাকাতেরা। তদন্তে নেমে দুই ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় হানা দেয় পুলিশ। লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে গ্রেফতার হয় ডাকাত দলটির পাণ্ডা শেখ সেলিম-সহ পাঁচ জন। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও বেশ কিছু মালপত্র উদ্ধার হয়েছে। |