জন্ম সার্ধ শতবর্ষে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হল যুগনায়ক স্বামী বিবেকানন্দকে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনাসর্বত্রই এ দিন সারাদিন ধরে আয়োজিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। স্বামী বিবেকানন্দের প্রতিকৃতি নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন।
বনগাঁয় পুরসভার পক্ষ থেকে এ দিন সকালে ত্রিকোণ পার্ক থেকে একটি পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রায় পুরসভা পরিচালিত ১১টি স্কুল ছাড়ো শহরের বেশ কিছু স্কুলের পড়ুয়া এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা যোগ দিয়েছিলেন। পদযাত্রার সূচনা করেন গোবরডাঙা রামকৃষ্ণ সেবা কেন্দ্রের সম্পাদক স্বামী সত্যরূপানন্দ। এর আগে স্থানীয় স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে স্বামীজির মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়। এই উপলক্ষে বসে আঁকো, আলোচনাসভা, ক্যুইজ এবং ভলিবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পদযাত্রায় যোগ দেন বনগাঁর মহকুমাশাসক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান জ্যোৎস্না আঢ্য, বিরোধী দলনেতা সুনীল সরকার, বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ প্রমুখ। গাঁড়াপোতার কালীপদ বিশ্বাস স্মৃতিরক্ষা কমিটির তরফে বনগাঁ হাসপাতালে রোগীদের ফল বিতরণ করা হয়। রামশঙ্করপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্বামীজিকে নিয়ে ছিল আলোচনাসভা। স্টুডেন্টস হেলথ হোমের গোবরডাঙা শাখা থেকে পদযাত্রার আয়োজন করা হয়। বোধন সংস্থার তরফে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি ভরত দাস, রামকৃষ্ণ মিশন সেবা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ স্বামী ব্রহ্মলোকানন্দ। বিবেকানন্দ অ্যাকাডেমি শিশু-কিশোরদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। বিভূতিভূষণ মেমোরিয়াল পাবলিক টাউন লাইব্রেরিতে তিনদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। হরিপদ ইনস্টিটিউশনে স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচন করা হয়। এই উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে বইমেলার। হাবরা এবং অশোকনগরে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।
বসিরহাট শহরে বিভিন্ন ওয়ার্ড কমিটি এবং যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে স্বামীজির ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন বসে আঁকো, ক্যুইজ, গান, নাচ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল স্বামীজির জন্ম সার্ধ শতবর্ষে। স্থানীয় টাউন ক্লাবের মাঠে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের শিকড়া কুলিন গ্রাম শাখার স্বামী বিমুক্তাত্মানন্দ। ব্লক অবর ক্রীড়া কমিটির পরিচালনায় স্বরূপনগরের ছোটবাঁকড়া প্রাথমিক স্কুলে পালিত হয়েছে স্বামীজির জন্ম সার্ধ শতবর্ষ। হিঙ্গলগঞ্জের গোবিন্দকাটি সুন্দরবন উন্নয়ন জনকল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে সারাদিন ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ মণ্ডল। টাকি, হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া, দেগঙ্গা সর্বত্রই এ দিন স্বামীজির জন্ম সার্ধ শতবর্ষ পালন করা হয়েছে।
ক্যানিংয়েও নানা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পালিত হল স্বামী বিবেকানন্দের জন্ম সার্ধশতবর্ষ। বিভিন্ন স্কুলের ছেলেমেয়েরা প্রভাতফেরিতে সামিল হয়। ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের সামনে ব্লক তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিবেকানন্দকে নিয়ে আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্যানিং থানার পক্ষ থেকেও আলোচনাসভা হয়। তা ছাড়া, স্বামী বিবেকানন্দের ভাবধারাকে তুলে ধরতে ট্যাবলো সহযোগে প্রচার চালানো হয়। তাতে নারী পাচার, বাল্য বিবাহ এবং শিশুশ্রম-সহ নানা সামাজিক সমস্যা তুলে ধরা হয়। নানা অনুষ্ঠান হয় বাসন্তী, গোসাবা, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ এবং নামখানাতেও। |