|
|
|
|
বিবেকানন্দের জন্মসার্ধশতবর্ষে নানা অনুষ্ঠান |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধশত জন্মজয়ন্তী বৃহস্পতিবার উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে পালিত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়েই। কাঁথি মহকুমায় কাঁথি রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে বিশেষ পুজোপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠিত হয় ছাত্র-যুব সন্মেলন। বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা সন্মেলনে অংশ নেয়। বিভিন্ন স্কুল ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাঁথি শহরে স্বামীজির প্রতিকৃতি নিয়ে প্রভাতফেরিও বের হয়।
স্বামী বিবেকানন্দ জন্ম সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে কাঁথি হাইস্কুলে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরাহনগর রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজ স্বামী স্নেহময়ানন্দ। অনুষ্ঠানে বিবেকানন্দের গঠনমূলক চিন্তাভাবনা ও আজকের যুবসমাজের কর্তব্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন সোমনাথ দাস, সমরেন্দ্রনাথ দাস, বিধান ভুঁইয়া প্রমুখ। কাঁথি-৩ ব্লকে মারিশদা বিজয়কৃষ্ণ জাগৃহি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে তেলিপুকুর থেকে মারিশদা পর্যন্ত পথ পরিক্রমা করে। খেজুরির মোহাটি বিবেকানন্দ পল্লিসেবা সঙ্ঘ, হেঁড়িয়া রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ বেদান্ত ট্রাস্ট ও কৃষ্ণনগর ক্লাবের উদ্যোগেও দিনটি উদ্যাপন করা হয়। দিঘায় দিশারি মাঠে পদিমা-২ যুব-তৃণমূলের উদ্যোগে বস্ত্রদান ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়।
এ দিন এগরা মহকুমার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও স্বামীজি স্মরণে নানা অনুষ্ঠান হয়েছে। এগরা শহরে শোভাযাত্রার আয়োজন করে বিবেকানন্দ যুব মহামণ্ডল। শহিদ স্মরণ কমিটির উদ্যোগে দিঘা মোড় থেকে বেরোয় শোভাযাত্রা। সত্যসেবক সঙ্ঘের উদ্যোগেও হয় নানা অনুষ্ঠান। পানিপারুল স্কুলে ১৫০ ছাত্রকে স্বামীজি মতো সাজিয়ে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ভগবানপুর বাজারে স্বামীজির আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয় যুব তৃণমূলের উদ্যোগে।
হলদিয়ার চৈতন্যপুরের রামপুরে স্বামীজির নামাঙ্কিত মিশন-আশ্রম থেকে সকালে বেরোয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এ ছাড়াও ক্যুইজ, স্বদেশমন্ত্র পাঠ, স্বামীজির কবিতা পাঠ ও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। মিশনের দৃষ্টিহীন আবাসিকরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বেলুরমঠের প্রবীণ সন্ন্যাসী স্বামী অচ্যুতানন্দ, মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রনজিৎ ধর প্রমুখ। শিল্পতালুকের ভবানীপুরে এ দিন পুরুলিয়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া-সহ আট জেলার ১৬টি টিমের খো-খো প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আলোচনাসভারও আয়োজন করা হয়। খো-খো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন এসডিপিও অমিতাভ মাইতি। হলদিয়া উদ্বাস্তু ক্ষতিগ্রস্ত সমন্বয় সমিতি-র পক্ষ থেকে দুঃস্থ-মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের স্কুলব্যাগ এবং শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। হলদিয়ার মঞ্জুশ্রী মোড়ে ক্ষুদিরাম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকে বিবেকানন্দের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে ৫০০টি কম্বলের কুপন বিলি করা হয় দুঃস্থদের মধ্যে। রানিচকের বিবেকানন্দ গভর্নমেন্ট স্পন্সরড বিদ্যাপীঠ-সহ সব স্কুলেই স্বামীজির জন্মদিবস পালিত হয় যথাযোগ্য মর্যাদায়। জেলাসদর তমলুকে সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় রামকৃষ্ণ মিশন থেকে। জেলা কংগ্রেস কার্যালয়েও দিনটি পালন করা হয়। হয়েছিল আলোচনাসভা।
|
|
|
|
|
|