নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ক্রিকেটারদের বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে সিএবি-র কঠোর শাস্তির সামনে পড়তে চলেছে ময়দানের কিছু ক্লাব। শাস্তির মেয়াদ পাঁচ বছরের নির্বাসন পর্যন্ত গড়াতে পারে। বৃহস্পতিবার অনূর্ধ্ব-১৭ জুনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্টের জন্য মেডিক্যাল পরীক্ষা ছিল। ক্লাব-কোচিং সেন্টার মিলিয়ে সিএবি-র কুড়িটি অনুমোদিত সংস্থার ক্রিকেটার হাজির হয়েছিল ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। কিন্তু ৭০ থেকে ৮০ জন ক্রিকেটার ধরা পড়ে বয়স ভাঁড়ানোর অপরাধে।
সবচেয়ে বেশি অশান্তি হয় পার্সি ক্লাব এবং জর্জ টেলিগ্রাফকে ঘিরে। পার্সির দুই ক্রিকেটার আদিত্য পুরোহিত এবং সইদ গুলজার ওয়াসিমের পরীক্ষার সময় দেখা যায় এদের ‘বার্থ সার্টিফিকেট’-এর ক্রমিক সংখ্যা এক! অর্থাৎ, সার্টিফিকেট জাল। এবং এই ঘটনাকে ঘিরে পার্সি ক্লাবের কোচ এবং ক্রিকেটারের মধ্যে একপ্রস্থ ঝামেলাও হয়ে যায়। ক্রিকেটারকে কোচ চড় মারেন বলে জানা গিয়েছে। ক্রিকেটারদের অপরাধ স্বীকার করে টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নেয় পার্সি। ক্লাবের প্রধান কর্তা রুসি জিজিবয় যা নিয়ে বললেন, “কাল ক্লাবে এ নিয়ে মিটিং ডেকেছি।” জর্জের আবার ১৬ জন ক্রিকেটার এসেছিল ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য। তার মধ্যে ১৫ জনই ধরা পড়ে বয়স ভাঁড়িয়ে। জর্জের প্রধান কর্তা সুব্রত দত্ত যা শুনে বললেন, “আমাদের প্রথমত অনূর্ধ্ব ১৭ কোনও টিমই নেই। একটি কোচিং সেন্টার আছে যারা আমাদের পরিকাঠামো ব্যবহার করে। ক্লাবের সঙ্গে তাদের কোনও সরাসরি যোগাযোগ নেই।”
কিন্তু ঘটনা হচ্ছে, ক্লাবের সাফাইয়ে মোটেই পাত্তা দিচ্ছে না সিএবি। আগামী দু’এক দিনের মধ্যে এ নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসছেন সিএবি কর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, হালফিলে কম্পিউটারচালিত পদ্ধতি যেহেতু ক্রিকেটারদের বয়স বিচারের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তাই ভুলচুকের আশঙ্কা নেই। সিএবি-র যুগ্ম-সচিব বিশ্বরূপ দে বললেন, “নির্ভুল হওয়ার জন্য আমরা আরও একবার পরীক্ষা করে দেখব। ক্রিকেটাররা দোষী প্রমাণিত হলে তারা যে ক্লাব বা কোচিং সেন্টারের ক্রিকেটার, তাদের পাঁচ বছরের জন্য নির্বাসিত করা হবে।” |