নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আড়াই বছর পর ফের ইস্টবেঙ্গলে ফিরলেন এডমিলসন। অ্যালান গাওয়ের পরিবর্তে।
কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বদলি ফুটবলার নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন কর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে শিলং থেকে সরাসরি ক্লাব তাঁবুতে এসে চুক্তি পত্রে সই করার পর ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার বলে দিলেন, “এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আগের মতোই গোল করে যে ম্যাচ জেতাতে পারি সেটা দেখিয়ে দেব। দেখবেন ডার্বি ম্যাচে আমিই গোল করব।” আজ থেকে ক্লাবে সহকারী কোচেদের তত্ত্বাবধানে অনুশীলনে নামছেন এডমিলসন।
এডমিলসন যখন মাঠে নামার জন্য ছটফট করছেন তখন অর্থ নিয়ে দ্রুত স্কটল্যান্ড ফিরে যেতে চাইছেন গাও। এ দিন দুপুরে বাটা স্পোর্টস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন স্কট ফুটবলার। সঙ্গে লাল-হলুদের সহকারী কোচ অ্যালভিটো ডি’কুনহা। ইস্টবেঙ্গল থেকে তাঁক চলে যাওয়া প্রসঙ্গে একটি শব্দও বলতে চাননি তিনি। সব প্রশ্নই এড়িয়ে যান। বলেন, “যা বলার ক্লাব বলবে।” ক্লাব সূত্রের খবর, গাও-এর সঙ্গে প্রাপ্য অর্থ নিয়ে ক্লাবের পাকা কথা হয়ে গিয়েছে। সে জন্যই গাও নীরব। |
প্রবেশ ও প্রস্থান: এডমিলসন ও গাও। বৃহস্পতিবার। ছবি: উৎপল সরকার |
গাও ময়দান ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই লাল-হলুদে যোগ দেন এডমিলসন। শনিবার পুণে এফ সি-র সঙ্গে খেলার জন্য ইস্টবেঙ্গল এ দিন দুপুরে রওনা হয়ে যায়। বিমানের দেরির জন্য রাত ন’টাতেও পুণে পৌঁছতে পারেননি টোলগে-পেনরা। গাও-এর পরিবর্তে একজন ভাল স্ট্রাইকারের খোঁজ করছিলেন কর্তারা। এডমিলসন-সহ কয়েকজন ফুটবলারের জীবনপঞ্জী ও সিডি পাঠানো হয়েছিল মর্গ্যানকে। তার মধ্যে থেকে কেন এডমিলনসকে বাছলেন ব্রিটিশ কোচ? কর্তাদের বক্তব্য, ১৭ দিনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ব্রাজিল বা ঘানা থেকে নতুন কোনও ফুটবলার আনতে গেলে দিন দশেক সময় লাগবে। সেই ঝুঁকি মর্গ্যান নিতে চাইছেন না।
এডমিলসনকেও হয়তো পেত না ইস্টবেঙ্গল। কারণ আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিসনে খেলার জন্য শিলংয়ের ক্লাব ওয়াইংডোয় চলে গিয়েছিলেন তিনি। নেমেও পড়েছিলেন অনুশীলনে। ইস্টবেঙ্গলের ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি চলে আসেন শহরে। ২০০৭ থেকে ২০০৯-এর মাঝামাঝি ইস্টবেঙ্গলে খেলেছেন এডু। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে প্রচুর গোল করেছেন। কিন্তু গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ায় মরসুমের মাঝপথে তাঁকে ছেঁটে ফেলা হয়েছিল। এর পর ইউনাইটেড স্পোর্টসের হয়ে খেলছেন। এ বছর ছিলেন সাদার্ন সমিতিতে। কিন্তু মাঝপথে কর্তাদের সঙ্গে আর্থিক সমস্যার জন্য রিলিজ নিয়ে নেন। দাবি করলেন, সাদার্নের হয়ে ১০ ম্যাচে সাত গোল করেছেন। শেষ ম্যাচ খেলেছেন গত বছর ২২ নভেম্বর। বললেন, “আমি আর আগের এডমিলসন নই। তখন বয়সটা কম ছিল। ঝামেলায় জড়াতাম। আমার মেয়ে ও স্ত্রী-ও চায় আমি লাল-হলুদ জার্সিতে সফল হই। যতই অন্য ক্লাবে খেলি সবাই চেনে ইস্টবেঙ্গলের জন্য।”
দেখার, বছর বত্রিশের ‘নতুন এডমিলসন’ মর্গ্যানের টিমকে আলো দেখাতে পারেন কি না। |