চার বছর আগের কথা। বছরের প্রায় এই একই সময়ে ভারত সিরিজে ০-২ পিছিয়ে থেকে পারথে পেস সর্বস্ব অস্ট্রেলীয় আক্রমণের মহড়া নিতে নেমেছিল। এবং জিতেছিল। একশো কোটি ভারতীয় এ বারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আশায় আছেন। কিন্তু সেই সম্ভাবনাটা কেন ক্ষীণ দেখাচ্ছে, সেটাই একটু খুলে বলা যাক।
এই মুহূর্তে ভারতের আসল সমস্যা ওদের শিবির থেকে ফাঁস হতে থাকা খবরগুলো। যা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে ভারতীয় দল মোটেই আর একটা সুখী পরিবার নেই। পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে ধোনির দলের শরীরী ভাষা। প্রত্যেকে যেন একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন আলাদা আলাদা দ্বীপ। আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি, প্র্যাক্টিসের সময় দর্শক আর ফ্যানেদের সঙ্গে মেলামেশা করতে না চাওয়া, প্রচারমাধ্যমের সঙ্গে দায়সারা, মাপা কথাবার্তা— এ সব কিছুই বলে দিচ্ছে যে দলটা অসম্ভব ঝামেলার মধ্যে রয়েছে আর সে জন্য নিজেদের পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছে।
ভারতীয়রা প্রচণ্ড হতাশ হয়ে আছে। পারথে হারলে বিদেশের মাঠে টানা সাতটা টেস্ট হারবে ওরা। যে দলটা নিজেদের বিশ্বের সেরা ব্যাটিং লাইন আপ বলে বড়াই করে, তাদের কাছে এটা মোটেই গর্বের নয়। আমি কিন্তু এর পরেও বলব, ভারতের জন্য সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। দুই পেসার জাহির আর ইশান্ত ভাল ফর্মে আছে এবং ওয়াকায় ওরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
ক্লার্করা যেন আত্মতুষ্ট হয়ে না পড়ে। ভারত খুব ভাল দল। যে দলে এমন কয়েকজন আছে, ক্রিকেটার হিসাবে যাদের সুনাম বিশ্বজোড়া। আমি চাই, সেই সুনাম রক্ষার খাতিরেই এরা জ্বলে উঠুক এবং পারথে অস্ট্রেলিয়াকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিক। আরও একটা ০-৪ এড়ানোর মরিয়া চেষ্টা আর ধোনির অনুপ্রাণিত ক্যাপ্টেনসি দিয়ে ভারত যে গাড্ডায় পড়েছে, তার থেকে উঠে আসুক। |