বড়জোড়া ও বাঁকাদহে দলমার হাতিদের তাণ্ডব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বুধবার রাতে হাতির হামলায় বড়জোড়ায় এক বৃদ্ধা-সহ দু’জন জখম হয়েছেন। এই এলাকার ৩২টি মাটির ঘর হাতির পাল ভেঙে দেয়। বাঁকাদহের কয়েকটি গ্রামে হাতির পাল প্রায় ২০০ বিঘা জমির ফসল তছনছ করে। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বৃহস্পতিবার বড়জোড়া ও বাঁকাদহ রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অফিস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
এ মুর্হূতে বড়জোড়া বনাঞ্চলে প্রায় ১০০টি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বুধবার রাতে সাহারজোড়া গ্রামে হারাধন বাগদি নামের এক ব্যক্তিকে শুড়ে তুলে একটি হাতি আছাড় মারে। আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই ভাবে স্থানীয় বাগুলি গ্রামের হঙ্গুলবালা দাস নামের সত্তর বছরের এক বৃদ্ধা চোট পান। স্থানীয় ভাবে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। |
মোহনপুর গ্রামে হাতির পাল ঢুকে একই রাতে ২০টি মাটির ঘর ভেঙে দেয়। কামনা ও টিকারা গ্রামের গ্রামে চারটি করে এবং কেশবপুর ও মেটালায় দু’টি করে ঘর ভেঙে দেয়। শীতের মধ্যে নিরাশ্রয় হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। শক্তিপদ ধাড়া, প্রহ্লাদ পাল, বিশ্বনাথ মাঝিদের ক্ষোভ, “একে চাষের ক্ষতিপূরণ পাচ্ছি না। ঘরও গেল। এ বার আমরা বাঁচব কী ভাবে?” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বড়জোড়া রেঞ্জ অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ থামান। তিনি বলেন, “হাতির হানায় জখমদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। হাতি তাড়ানোর জন্য সার্চ লাইট ও হুলা জ্বালানোর জন্য কেরোসিন তেল চাওয়া হয়েছে।”
অন্য দিকে, বাঁকাদহ রেঞ্জের চিতরং, লাচনা, পিয়ারডোবা, বাঁকাদহ প্রভৃতি গ্রামে বুধবার রাতে ৫০টি হাতি ২০০ বিঘার বেশি জমির ফসলের ক্ষতি করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “হাতিগুলিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও ফেরত আসছে। চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |