দুর্ঘটনায় মৃত্যু শিশুর, উত্তেজনা গুপ্তিপাড়ায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড় |
ইটভাটায় কয়লা নামিয়ে ফিরছিল একটি লরি। তারই চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা যায় এক অর্পিতা রায় (৫) নামে এক শিশুকন্যা। ক্ষিপ্ত জনতা লরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয় দু’টি ইটভাটায়। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়ার রায়পাড়ায়। চালককে উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। লাঠি চালায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে চালক-সহ ১২ জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অর্পিতা পড়ত স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণিতে। এ দিন স্কুলে বিবেকানন্দের সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে ফেরার পথেই লরিটি ধাক্কা মারে তাকে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় মেয়েটি। এর পরেই উত্তেজিত জনতা লরিটিকে ধাওয়া করে। গতি বাড়িয়ে চালক পালানোর চেষ্টা করেন। এ দিকে, তখনই ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখা দিয়ে ট্রেন যাওয়ার কথা। যে কারণে রায়পাড়ার রেলগেটটি বন্ধ ছিল। লরিটি দাঁড়িয়ে পড়ে। চালক নেমে পালানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাঁকে ধরে ফেলে। শুরু হয় মারধর। |
খবর পেয়ে বলাগড় থানার পুলিশ দ্রুত পৌঁছয় এলাকায়। চালককে উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় জনতা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল উড়ে আসে। বাধ্য হয়ে লাঠি চালায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কর্মীরা সংখ্যা কম ছিলেন। ফলে পরিস্থিতি পুরোপুরি আয়ত্তে আনা যায়নি। চালককে উদ্ধার করা গেলেও জনতা ওই লরি নিয়ে চলে যায় ইটভাটায়। সেখানে গিয়ে গাড়িতে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দু’টি ভাটায় ভাঙচুর চালিয়ে সেখানেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশেষ বিশ্বাস-সহ পুলিশ কর্তারা বিশাল বাহিনী নিয়ে এলাকায় আসেন। জনতাকে কোনও মতে শান্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে চালককে। স্থানীয় ১১ জনকেও ধরেছে পুলিশ। শিশুর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়না-তদন্তের জন্য। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, ইটভাটার লরিগুলি বেপরোয়া ভাবে যাতায়াত করে। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। |