অভিযোগের তির শাসক দলের কর্মী-সমর্থকের দিকে |
গোঘাটে সিপিএম নেতাকে মার, প্রহৃত তৃণমূল কর্মীরাও |
প্রবীন সিপিএম নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের কয়েক জনকেও একই সঙ্গে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার সকালে গোঘাটের সন্তা গ্রামে এই ঘটনায় পুলিশ গিয়েছিল এলাকায়। তবে কোনও পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। তৃণমূলের সব পক্ষই ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। অনিল রায় নামে ওই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সদস্য ছিলেন। শারীরিক কারণে সদস্য পদ থেকে তাঁকে সম্প্রতি অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে দলীয় সূত্রের খবর। অনিলবাবু জানিয়েছেন, বুধবার রাতে স্থানীয় মদিনা বাজারে তাঁকে তৃণমূলের কয়েক জন ধাক্কাধাক্কি করে। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তৃণমূলেরই কিছু লোক তাঁর কাছে এসে ওই ঘটনার জন্য ‘ক্ষমা’ চায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের আর এক গোষ্ঠীর কয়েক জন হইহই করে ঢুকে পড়ে বাড়িতে। অনিলবাবুকে লাঠিপেটা করা হয়। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে। অনিলবাবুর দাবি, হামলাকারীরা বলে, তিনি নাকি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ‘বিভেদ’ তৈরি করছেন। প্রবীন সিপিএম নেতার কথায়, “ওরা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছে, তা ঠিক নয়। লাঠি-বাঁশের ঘায়ে শরীরের অনেক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধেছে। চিকিৎসার জন্য ছেলেমেয়েরা কলকাতায় নিয়ে যেতে চায়। সে জন্য তৃণমূলের কাছে অনুমতি চেয়েছি।” থানায় অভিযোগ করেননি কেন? অনিলবাবুর বক্তব্য, “ও সব পরে। আগে একটু সুস্থ হই।” অন্য দিকে, প্রহৃত তৃণমূল কর্মী শঙ্কর কুণ্ডু, বিশ্বনাথ সাঁতরা, অজিত দলুইদের বক্তব্য, “উনি আমাদের মাস্টারমশাই ছিলেন। আমাদেরই দলের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ছেলে ওঁকে হেনস্থা করেছে। কেমন আছেন, দেখতে গিয়েছিলাম। ক্ষমা চাইতে গিয়েছিলাম। আমাদের সামনেই ওঁকে মারধর করল। আমাদেরও পেটাল।”
সিপিএমের গোঘাট জোনাল কমিটির সম্পাদক অরুণ পাত্রের দাবি, আগেও অনিলবাবুর উপরে বার দু’য়েক হামলা হয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে প্রদীপ রায় নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা অনিলবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “এলাকার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিভেদ ঘটাচ্ছেন বলে অরুণবাবুর উপরে আমাদের দলের ছেলেদের ক্ষোভ ছিল। তবে একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গিয়েছে। ওঁর চিকিৎসার জন্য যা করণীয়, আমরা করব বলেছি।” |