কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুযোগ নিতে চান নীতীশ |
কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে হাতিয়ার করে এ বার আর্থিক ভাবে দুর্বল, বিশেষ করে বিপিএল-স্তরের মানুষের উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাজ্যের বিপিএলভুক্ত মানুষের জন্য এই প্রকল্পের সুযোগ পুরো মাত্রায় নিতে বিশেষ রূপায়ণ-পরিকল্পনা করছেন তিনি। এই লক্ষ্যে ১ কোটি ২৫ লক্ষ বিপিএল মানুষের কাছে ‘ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন’ (এনআরএলএম) নামে কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পের সুফল সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। শুধু নির্দেশ দিয়েই বিষয়টিকে ছেড়ে দেননি তিনি। যাতে সুষ্ঠুভাবে করা হয় তার জন্য গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী ও দফতরের অফিসারদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকও করেছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পটির মেয়াদ ১০ বছরের। বিহারের জন্য এই খাতে বরাদ্দ ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর ৭৫% ভাগ টাকা কেন্দ্র দেবে। বাকি ২৫% টাকা জোগাতে হবে রাজ্যকে। এক সচিবের কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, জনগোষ্ঠীগুলির প্রত্যেকের কাছে এই প্রকল্পের সুফল যাতে সঠিক ভাবে পৌঁছয়, তা একশোভাগ নিশ্চিত করতে হবে।” গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী নীতীশ মিশ্র বলেন, “আমার দফতর এই কাজ করার জন্য প্রস্তুত। এই প্রকল্পের সুফল যাতে প্রত্যেকটি বিপিএল মানুষের কাছে পৌঁছয় তা আমরা নিশ্চিত করতে চাইছি।”
এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করছে। প্রকল্পের কাজে ওই গোষ্ঠীগুলিকেও সামিল করা হবে। কেন্দ্র এই প্রকল্পের বেশির ভাগ টাকা দিলেও, রাজ্য সরকার নিজের মতো করে এই প্রকল্প রূপায়ণ করতে চাইছে। এর জন্য জনগোষ্ঠীগুলির ক্ষেত্রে কেবল মাত্র আর্থিক উন্নতিই নয়, স্বাস্থ্য এবং খাদ্যেরও সংস্থান করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এক একটি জনগোষ্ঠী ধরে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে প্রস্তুতির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে। এই প্রকল্পটিকে ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “প্রথম ৫৫টি ব্লকে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। পরে ধীরে ধীরে রাজ্যের ৫৩৪টি ব্লকেই এই প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হয়ে যাবে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রতিটি ব্লকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করছি।” |