জঙ্গি হুমকিতে তটস্থ মণিপুরি ভোটপ্রার্থীরা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনের জন্য ২৬৬টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়ল। কংগ্রেস, এমপিপি, এনসিপি, জেডিইউ, সিপিএম ও আরজেডি সবক’টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। তবে এক দিকে নির্বাচন কমিশনের কড়া নজরদারি, অন্য দিকে সাতটি জঙ্গি সংগঠনের হুমকির ঠেলায় প্রার্থীদের জৌলুশ এ বার যেন অনেকটাই ফিকে। এমনকী জঙ্গি হানার ভয়ে সূর্যাস্তের পরে নির্বাচনী প্রচারও এখন বন্ধ।
২৬৬টি মনোনয়নের মধ্যে পশ্চিম ইম্ফলে সবচেয়ে বেশি, ৬৫টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। পূর্ব ইম্ফলে জমা পড়েছে ৫৯টি। আগের আগের নির্বাচনগুলিতে হেভিওয়েট প্রার্থীরা প্রচুর সমর্থক ও গাড়ির কনভয় নিয়ে নাম জমা দিতে আসতেন।
সঙ্গে থাকত ব্যান্ডপার্টি। এ বার কিন্তু নামীদামী প্রার্থীরাও দেহরক্ষী ও অতি ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সিংহভাগ প্রার্থী তাঁদের গাড়িতে দলীয় পতাকা অবধি লাগাননি।
তবে সাবধানতা সত্ত্বেও প্রার্থী-সমর্থকদের উপরে জঙ্গি আক্রমণ কমছে না। গত কাল এক কংগ্রেস প্রার্থী, ওয়াইখম শ্যামার বাড়ি লক্ষ্য করে সাত রাউন্ড গুলি চালায় জঙ্গিরা। হাওবাম মারাকে জঙ্গিরা কংগ্রেস প্রার্থী আর কে আনন্দের ঘনিষ্ঠ লইরেংজাম কুমারের বাড়িতে গ্রেনেড ছোড়ে। কংগ্রেস কর্মী টংব্রাম ইয়াইমার বাড়িতেও গ্রেনেড ছোড়া হয়। রামলাল পাল স্কুলের কাছে এক প্রাক্তন পুরপিতার বাড়ির দরজায় গ্রেনেড ছোড়া হলেও সেটি ফাটেনি। গ্রেনেড হানা হয়েছে কংগ্রেস কর্মী আর কে বীরেনের বাড়িতেও।
নির্বাচন কমিশনের তরফে মণিপুর সরকার, পার্শ্ববর্তী অসম ও নাগাল্যান্ড সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে: সংঘর্ষ বিরতিতে থাকা সব জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের নিজস্ব শিবিরে থাকতে বলা হোক।’ সংঘর্ষ বিরতিতে থাকা মণিপুরি জঙ্গিদের ভোট সরকার স্বীকৃত শিবির থেকেই, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নেওয়া হবে। মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও অসমের স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিদের সঙ্গে এই নিয়ে একটি বৈঠকও করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কুরেশি। |