‘সম্মানের লড়াইয়ে’ জল্পনা জিইয়ে রাখলেন সেনাপ্রধান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
বার্ষিক সাংবাদিক বৈঠককে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দেওয়ার মঞ্চ হিসেবেই কাজে লাগালেন সেনাপ্রধান বিজয়কুমার সিংহ। কিন্তু বয়স-বিতর্কে তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে জল্পনার রাস্তা খোলাই রাখলেন।
অবসর নেওয়ার ঠিক আগে তাঁর জন্মসাল এক বছর কম দেখিয়ে সেনাপ্রধান নিজের মেয়াদ বাড়িয়ে নিতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে তাঁর বিবাদকে আজ ফের ‘সম্মান ও বিশ্বাসযোগ্যতা’র লড়াই বলে দাবি করেন সেনাপ্রধান। বলেন, তিনি বরাবরই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে লড়াই করেছেন। সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে বাহিনীকে আরও স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তাদের মতে, সেনাপ্রধানের বয়স নিয়ে বিতর্কে সেনার ভাবমূর্তিই নষ্ট হচ্ছে। সেনাপ্রধান নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কাজ করছেন বলে বার্তা যাচ্ছে। যদিও সেনাপ্রধান বলেছেন যে, এই বিতর্কে সেনার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে না। তাঁর কথায়, “আমার বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে এর প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু আমি আমার প্রতিষ্ঠানের জন্য কাজ করি, নিজের জন্য নয়।” তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় প্রশ্নের জন্য সংবাদমাধ্যমকেই দায়ী করেছেন জেনারেল সিংহ। |
সেনাবাহিনীর দুই বিভাগে দু’রকম জন্মতারিখ নথিবদ্ধ করা আছে সেনাপ্রধানের। যে বিভাগ পদোন্নতি ও নিয়োগ দেখে, সেখানে জন্মতারিখ রয়েছে ১৯৫০ সালের ১০ মে। জেনারেল সিংহের দাবি, তাঁর জন্মসাল আসলে ১৯৫১। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বক্তব্য, ১৯৫০-কেই জন্মসাল ধরে নিয়ে চলতি বছরের মে মাসে অবসর নিতে হবে সেনাপ্রধানকে। অথচ সেনাপ্রধান তা মানতে নারাজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। কেন্দ্র চায়, অবসরই নিয়ে নিন জেনারেল সিংহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, “সেনাপ্রধানকে আমরা সম্মান করি। তিনি দেশের সেবা করেছেন। কিন্তু বিতর্কটা এড়ানো দরকার ছিল।”
বর্তমান সেনাপ্রধান যদি মে মাসে অবসর নিয়েও নেন, তাতেও বিতর্ক থামবে না। কারণ পরবর্তী সেনাপ্রধান যাঁর হওয়ার কথা ইস্টার্ন কম্যান্ডের প্রধান, সেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিক্রম সিংহের বিরুদ্ধে বছর দশেক আগেকার একটি ভুয়ো সংঘর্ষের অভিযোগ উঠেছে।
তবে সেনাপ্রধান বিষয়টি ‘বিচারাধীন’ বলে মন্তব্য এড়িয়ে গিয়েছেন। |