ফের দাম কমলো খাদ্যপণ্যের। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের জন্যও শীতের সব্জির পর্যাপ্ত ফলন খাদ্য সামগ্রীর দামকে ওপরে উঠতে দেয়নি। তবে দাম কমেছে কিছুটা ধীরগতিতে, ২.৯০ শতাংশ হারে। আগের সপ্তাহে তা কমেছিল ৩.৩৬ শতাংশ।
এর জেরে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ বার তার ২৪ জানুয়ারির ঋণনীতিতে সুদ কমানোর পথেই ফিরবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২০১০-এর মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ৩৭৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ বাড়িয়ে ডিসেম্বরে থমকে দাঁড়ায় শীর্ষ ব্যাঙ্ক। অপরিবর্তিতই থাকে সুদ। এ বার তারা সুদ কমানোর পথে হাঁটবে বলেই ইঙ্গিত মিলেছে। |
বস্তুত, দাম কমার অর্থ হল, মূল্যবৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে নেমে যাওয়া। আলোচ্য সপ্তাহটিতে ওই হার হয়েছে (-)২.৯০%। ২০১০ সালের একই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল চড়া, ১৯%। এ সপ্তাহে সাধারণ ভাবে সব্জির দাম পড়েছে ৪৯.০৩%। পেঁয়াজের দাম পড়েছে প্রায় ৭৫%, আলু ৩২%, গম ৩.৪%।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১০.৫% ছাড়ানোর পর থেকেই কমতে শুরু করেছে খাদ্য সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির হার। এখন আর বৃদ্ধির হার নয়, দামই কমে যেতে থাকায় খুশি অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “খ্যদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এখনও শূন্যের নীচে। তা টানা কমতে থাকার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হারও মার্চের মধ্যে ৬-৭ শতাংশে নেমে আসার কথা। ডিসেম্বরের জন্য এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে ১৬ জানুয়ারি। নভেম্বরের হার ছিল ৯.১১%। |