তাঁর সঙ্গে কাটোয়ার এসডিপিও ধ্রুবজ্যোতি দাস ‘অভব্য আচরণ’ করেছেন বলে বিধানসভার স্পিকারের কাছে ফ্যাক্স বার্তায় অভিযোগ জানালেন পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছেও অভিযোগের প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন তিনি। এসডিপিও অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গত সোমবার মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে পূর্বস্থলী কলেজে টিএমসিপি এবং এসএফআইয়ের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই টিএমসিপি এবং এক এসএফআই সমর্থক আহত হন। বুধবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠানো ফ্যাক্সবার্তায় তপনবাবু অভিযোগ করেন, তিনি পূর্বস্থলী কলেজে গিয়ে টিএমসিপি সদস্যদের নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। |
সেই সময়ে এসডিপিও (কাটোয়া) ধ্রুবজ্যোতি দাস (সেই দিন তিনি কালনার দায়িত্বেও ছিলেন) এসএফআই ছাত্রদের সমর্থন করছিলেন। তপনবাবুর অভিযোগ, “ওই দিন এসডিপিও-র আচরণ ছিল সিপিএমের ক্যাডারদের মতো। সেই কারণেই এক জন জনপ্রতিনিধি ও কলেজ পরিচালন সমিতির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ওই পুলিশ আধিকারিক অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে আমাকে হুমকি দিতে থাকেন।”
অভিযোগে তপনবাবু লিখেছেন, তিনি বারবার নিজের পরিচয় দিলেও ওই পুলিশ অফিসার কোনও কথা না শুনে ‘অভব্য আচরণ’ করতে থাকেন। তাতে তিনি অপমানিত বোধ করেছেন। সেই জন্য স্পিকারের কাছে এসডিপিও-র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, কালনা কলেজে পড়ার সময়ে ধ্রুবজ্যোতিবাবু এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই কারণেই তিনি তাঁর অসদাচরণ করেছেন।
ধ্রুবজ্যোতিবাবু অবশ্য বলেন, “গোলমালের আশঙ্কা করে আমরা কলেজ থেকে বিধায়ককে সরে যেতে বলেছিলাম। আমি কোনও খারাপ ব্যবহার করিনি। আমার মনে হয়, আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।” একই সঙ্গে তাঁ বক্তব্য, কলেজে পড়ার সময়ে তিনি কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। প্রসঙ্গত, পূর্বস্থলী কলেজে ওই সংঘর্ষে আহত টিমসিপি সমর্থকদের দেখতে রাতে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে গুলিতে খুন হন তৃণমূলের পূর্বস্থলী অঞ্চল সহ-সভাপতি সজল ঘোষ (৩৬)। ঘটনার সময়ে তপনবাবুও হাসপাতালে ছিলেন। ওই ঘটনায় পুলিশ সিপিএম নেতা তথা পারুলিয়া কুলকামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদীপ সাহা, কলেজ ছাত্র সন্তু ভৌমিক-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। আইনমন্ত্রী বলেন, “বিধায়ক স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। যা ব্যবস্থা নেওয়ার, তিনিই নেবেন।” |