|
|
|
|
তদন্ত শুরু কমিটির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত শুরু করল কৃষি দফতরের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বুধবার রাজ্য কৃষি দফতরের অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দলটি কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি এলাকায় উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের নথি নিয়ে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অসিত দাসের সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৩ তারিখ পর্যন্ত তাঁদের কোচবিহারে থাকার কথা। পর্যায়ক্রমে তাঁরা ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গেও কথা বলবেন। দিলীপবাবু জানান, এখনই কোনও মন্তব্য করতে তাঁরা রাজি নন। সম্প্রতি নানা অভিযোগ ও দাবি ঘিরে আন্দোলনে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। ঘেরাও হওয়ার ভয়ে উপাচার্য অফিস যাওয়াও বন্ধ রাখেন। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন কোচবিহারে গেলেও উপাচার্যের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ জানায় টিচার্স কাউন্সিল। রাজ্যপাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়েও কিছু প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন। ইউনিভার্সিটি টিচার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন হাত বলেন, “উপাচার্য কার্যকরী সমিতির অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন তহবিলের বরাদ্দ থেকে চলতি আর্থিক বছরে ২৮ লক্ষ খরচ করেছেন। বেআইনি ভাবে একজন টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট লেকচারার হিসাবে নিয়োগ করেছেন বিধি ভেঙে ৪০২ দিন ছুটিতে থাকা এক অধ্যাপিকাকে বেতন মঞ্জুর, কর্মীদের প্রমোশন ছাড়াও নানা কাজ করেছেন। আমরা রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তার জেরেই ওই দলটি এসেছেন বলে শুনেছি। দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তরবঙ্গের আহ্বায়ক বরুণ দত্ত জানান, তদন্তকারী দলের সকলকে সবই জানাব। আশা করছি, তাঁরা ইতিবাচক ভুমিকা নেবেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শতাধিক পড়ুয়াকে সেমেস্টারে গরহাজির থাকায় ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দিন ঘোষণায় গড়িমসি, বাম জমানায় ছাত্র সংসদের বরাদ্দ খরচের অডিটের দাবিতে উপাচার্য-সহ নানা আধিকারিকদের দফায় দফায় ঘেরাও করে টিএমসিপি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্তকারী দল পাঠানোর কথা ঘোষণা করেন। দিলীপবাবু ছাড়াও ওই দলে রয়েছেন অতিরিক্ত কৃষি অধিকর্তা প্রদীপ সেন, কৃষি (শিক্ষা) অফিস সুপারেন্টডেন্ট বংশীবদন পাল। |
|
|
|
|
|