ফের হাতির হানায় জখম বিষ্ণুপুরে, ক্ষোভ |
হাতির হামলায় জখম ব্যক্তির মৃত্যুর পরে বড়জোড়ার গ্রামে হাতির হামলাতেই জখম হলেন আর এক গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাতে মালিয়াড়া গ্রামে। দলমার একদল হাতি বাড়ি ভাঙতে শুরু করলে ছুটে পালাতে গিয়ে একটি হাতির আক্রমণে জখম হয়েছেন ওই গ্রামের বাসিন্দা সাধন ঢাং। তিনি নিজের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর বাড়িঘর ভাঙার পাশাপাশি ওই গ্রামের ফণীভূষণ মণ্ডল, সাধন মণ্ডল এবং উত্তম মণ্ডলের বাড়ির উঠোনে ঢুকেও ভাঙচুর চালায় হাতির দলটি। আবার বাড়ি লাগোয়া ধানের মড়াইও ভেঙে দেয় হাতির দল। মালিয়াড়া গ্রামের উপপ্রধান চিন্তাহরণ পাল বলেন, “প্রায় একশোটির বেশি হাতি গত কয়েক দিন ধরে আমাদের এলাকায় হামলা চালাচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে তা মারাত্মক রূপ নেয়। সাধন ঢাং-এর বাড়ি ভেঙে তাকে জখম করেছে। ক্ষতি হয়েছে বহু বাড়ির ধানের মড়াই, সব্জিখেতেও। বিষয়টি বনদফতরকে জানানো হয়েছে।” মালিয়াড়ার পাশাপাশি নপাড়া, মেটালি, মোহনপুর, কেশবপুর, উপরসোল ইত্যাদি গ্রামের সব্জি চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বড়জোড়ায় হাতির হামলা বাড়ার কথা স্বীকার করে বাঁকুড়ার ডিএফও (উত্তর) এস কুলন ডেইভাল বলেন, “রেঞ্জ অফিসারদের বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে।” দ্রুত হাতিদের খেদানো নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেও জানান তিনি। এ দিকে বিষ্ণুপুর বনাঞ্চলের বাঁকাদহ রেঞ্জ এলাকায় হাতির হামলা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বন দফতরের ওই রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বুধবার বলেন, “শিলাবতী নদী পেরিয়ে হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকতে চাইলেও গড়বেতা এলাকার বাসিন্দারা নদীর তীরে ‘ব্যারিকেড’ করে হাতির ওই দলটিকে বাধা দিচ্ছেন। ফলে আমাদের পিয়ারডোবা, কলাবাগান, শালদহ, বাঁকাদহ প্রভৃতি গ্রামে ওই দলের হাতির হানা অব্যাহত রয়েছে।”
|
ভিতরকণিকা জাতীয় অভয়ারণ্যে এক ঝাঁক বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখির সন্ধান পেয়েছেন ওড়িশার বন দফতরের কর্তারা। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর পরিযায়ী পাখি এখানে কিছুটা কম এসেছে। এ বছর যে পাখির দলটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেটি মধ্য এশিয়ার কোনও একটি অঞ্চল থেকে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনগর ম্যানগ্রোভ বন দফতরের ডিএফও মনোজকুমার মহাপাত্রের কথায়, “ঘনঘন নিম্নচাপ ও সাইক্লোনের জন্যই কম পাখি এসেছে বলে মনে হয়।” |