বড় দিনের শুরু থেকে নাগাড়ে চলছে বনভোজন। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাজাপ্তি পাইকমারী ও জিৎপুর ফরেস্টে গ্যাস বা কাঠের আগুণ জ্বালিয়ে বিপজ্জনকভাবে বনভোজন চললেও বন দফতর প্রায় নিধিরাম সর্দার। তাদের বক্তব্য, এত বড় বন, মাত্র দুজন কর্মী। তাছাড়াও বনভোজন আটকালে দল বেঁধে বেপরোয়া যুবকেরা চড়াও হয় কর্মীদের ওপর।
বন দফতরের কর্তাদের মতেও, বনের ভেতরে আগুণ জ্বালিয়ে পিকনিকের বহরে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বহরমপুরের রেঞ্জ অফিসার এস এন পোদ্দার বলেন, “এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এর জন্য আমরা বনের চারপাশে বোর্ড লাগিয়েছিলাম, সেগুলোও চুরি হয়ে গেছে। পুলিশকে জানিয়েও লাভ হয় না। তাছাড়া আমাদের কর্মীদের সংখ্যাও কম, ফলে নজরদারি চালানোও কঠিন। তবে ওই বনের অফিসারকে বলব বিষয়টি থানায় লিখিতভাবে জানাতে।” |
ডোমকল এলাকায় কোনও পিকনিক গার্ডেন নেই। ফলে এলাকার সংরক্ষিত বনকেই বেছে নিয়েছে মানুষ। এমনকি কিছু স্কুল ও টিউটোরিয়াল হোমও ওখানে দল বেঁধে পিকনিক করে বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দারা জানান, বন দফতরের পক্ষ থেকে নজরদারি না চালানোয় ভেতরে আগুণ জ্বালিয়ে বনভোজন চলে। বুধবার বাজাপ্তিতে পিকনিক করছিলেন ডোমকলের বাবু সেখ ও তার বন্ধুরা। তারা বলেন, “অনেকেই বনের মধ্যে রান্না করছে দেখে আমরাও এলাম। কেউ বলেনি এখানে বনভোজন করা যাবে না।” এক কর্মী বলেন, “যারা এখানে পিকনিক করতে আসে তাদের একটা খুব বড় অংশ মদ্যপ অবস্থায় থাকে। কিছু বলতে গেলে আমাদের খুন্তি, শাবল নিয়ে তাড়া করে। আমরা একটা লাঠি হাতে পালিয়ে বাঁচতে বাধ্য হই।” প্রায় ৭০ হেক্টর সংরক্ষিত বন। শুকনো পাতা ছড়িয়ে থাকায় আগুণ লাগার সম্ভাবনাও চরম। তাছাড়া ডোমকলে কোন দমকলও নেই। ফলে আগুণ লাগলে বন দফতরের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার থাকবে না। বন দফতর পুলিশের অসহযোগিতার কথা বললেও ডোমকলের আই সি কৌশিক ঘোষ বলেন, “বন দফতর বনের ভেতরের পিকনিক নিয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ জানায়নি। জানালে ব্যবস্থা নেব।” |