তৃণমূল বললেও রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে কংগ্রেস সরছে না। মঙ্গলবার মালদহে এ কথা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। এদিন মালদহে ভাঙন রোধের দাবিতে উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম বেনজির নুরের পদযাত্রা উপলক্ষে রতুয়ার পরানপুরে আয়োজিত জনসভায় প্রদীপবাবু বলেন, “কেউ বললে কংগ্রেস রাজ্যের মন্ত্রিসভা থেকে সরে আসবে না। বাংলার মানুষ চেয়েছিলেন বলেই আমরা জোট করেছি। সুতরাং এখনই মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাওয়ার প্রশ্ন নেই।” রায়গঞ্জ কলেজ-সহ রাজ্য জুড়ে নানা বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে বিবাদের জেরে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস চাইলে মন্ত্রিসভা থেকে চলে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার পরেই দুই শরিকের তরজা এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সোমবার মহাকরণে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসের এক মন্ত্রী পাল্টা মন্তব্য করেন, হাইকমান্ড বললেই তিনি ছেঁড়া চপ্পলের মতো মন্ত্রিসভা ছেড়ে চলে যেতে চান। ফলে কংগ্রেসের আগামী পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। প্রদীপবাবুর এ দিনের মন্তব্যে দলের অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হল বলে মনে হচ্ছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “রাজ্যের মানুষ যেদিন চাইবে সেদিন মন্ত্রিসভা থেকে সরে যাব। আর কেউ চাইল বা না চাইল, তা নিয়ে আমাদের যায় আসে না। পশ্চিমবঙ্গে এখন রাজনীতি নিয়ে যা চলছে এটা কাঙ্ক্ষিত নয়।” প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “কৃষকদের সমস্যা নিয়ে বলছি বলে কী বিরোধী হয়ে গেলাম? কৃষকরা ধান, পাট, আলুর দাম পাচ্ছেন না। কৃষকদের কথা বলা কী অপরাধ? হঠাৎ আমাদের দোষারোপ করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস কাদা ছোঁড়াছুড়ি করছে। কংগ্রেস করছে না।”
|
পাইকারী সবজি বাজার, দৈনিক বাজার এবং তিনটি মার্কেট কমপ্লেক্সের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা এবং শহরে বাড়িঘর তৈরির বিধি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিটি গড়ল হলদিবাড়ি পুরসভা। ওই কমিটিতে পুরসভার চার জন কাউন্সিলর, পুরসভার অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি, হলদিবাড়ি থানার আইসি ও জলপাইগুড়ি অগ্নিনির্বাপক কেন্দ্রের আধিকারিক আছেন। পুর চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “সরকারের নির্দেশে এই কমিটি গড়া হয়েছে। এই কমিটি কাজ শুরু করেছে। সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পুর এবং নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে পুর চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পাঠিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই কমিটির সদস্যরা গত শনিবার হলদিবাড়ি শহরের পাইকারি ও খুচরো বাজার এবং তিনটি মার্কেট কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন। কমিটির ৪ সদস্য হলেন গৌতম ভট্টাচার্য, তরুণ দত্ত, অমলেন্দু লাহিড়ী, সুব্রত বসু।
|
মঙ্গলবার ২৩ তম মালদহ জেলা বইমেলার সূচনা করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক তিলোত্তমা মজুমদার। এদিন মালদহ শহরের ৫০টি স্কুলের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা ‘প্রতি হাতে বই চাই’ স্লোগান তুলে পদযাত্রায় সামিল হয়। মালদহ বইমেলা সূচনা করে তিলোত্তমা দেবী বলেন, “মালদহে বইমেলার সূচনা করতে এসে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে। মালদহের বইমেলা যে এত বড় আমার সেই ধারণা ছিল না।” রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ সাবিত্রী মিত্র বলেন, “রঙ না দেখে দলমত নির্বিশেষে সবাই এগিয়ে এসে বইমেলাকে সফল করে তুলেছেন। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব মালদহ বইমেলাকে আরও সাহায্য করার জন্য।” জেলা পরিষদের সভাধিপতি উজ্জল চৌধুরী ঘোষণা করেন, জেলার ৯৬ টি গ্রন্থাগারকে বই কেনার জন্য ৫ হাজার টাকা করে মোট ৪ লক্ষ ৮০ টাকা দেওয়া হবে। বইমেলায় ১৩৬ টি প্রকাশনী এসেছে। ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত এই বইমেলা চলবে।
|
ছাত্রছাত্রীদের পরিচয়পত্রের সঠিক ব্যবহার নিয়ে সরব হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মঙ্গলবার বালুরঘাট কলেজের ঘটনা। কলেজ থেকে পাস করে যাওয়া তৃতীয় বর্ষের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের পরিচয়পত্র বাতিলের দাবিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে টিএমসিপির তরফে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে কলেজ নির্বাচন। সোমবারই টিএমসিপির তরফে বহিরাগতদের ঢোকা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে এসএফআই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন পাল্টা অভিযোগ করে টিএমসিপি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দেবজ্যোতি সরকার ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। |