আসন্ন ছাত্র সংসদ ভোট নিয়ে মঙ্গলবারেও উত্তরবঙ্গের কয়েকটি কলেজে গোলমাল হয়েছে। কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ কলেজে মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। দিনহাটায় কলেজে ভোটের দিন ঘোষণার দাবিতে গেটে তালা ঝোলানো হয়। কোথাও টিএমসিপি, কোথাও ডিএসও আবার কোথাও ছাত্র পরিষদ, এসএফআই অভিযুক্ত। তবে বড় মাপের গোলমাল হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। মাথাভাঙ্গা কলেজে টিএমসিপি ও ডিএসও সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে ৭ জন জখম হন। ছাত্র পরিষদ ও এসএফআইয়ের তরফে অভিযোগ করা হয়, টিএমসিপির বাধায় জেলার মাথাভাঙা কলেজে তাদের সমর্থকরা মনোনয়ন তুলতে পারেননি। তুফানগঞ্জ কলেজেও ক্ষমতাসীন টিএমসিপির বাধায় এসএফআই কলেজে ঢ়ুকতে পারেন নি বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার তারিখ দাবিতে দিনহাটা কলেজে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নেমেছে এস এফ আই। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস অবশ্য বলেন, “প্রতিটি কলেজে সিনিয়র অফিসাররা পর্যাপ্ত পুলিশ সহ দায়িত্বে ছিলেন। কোথাও বড় গোলমাল হয়নি। তবে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’’ |
এ দিন থেকে কোচবিহার, মাথাভাঙ্গা ,তুফানগঞ্জ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেওয়া শুরু হয়েছে। মাথাভাঙা কলেজে মনোনয়ন তোলা নিয়ে ডিএসও ও টিএমসিপি সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ডিএসও র কোচবিহার জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, “মনোনয়ন তোলার পর টিএমসিপির ছেলেরা আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। মনোনয়ন পত্র কেড়ে নিয়ে আমাদের ২ জন কে মারধর করা হয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।” টিএমসিপির কোচবিহার জেলা সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরী তা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “ডিএসও পরিকল্পিত ভাবে অশান্তি করতে মনোনয়ন পত্র তোলার পরেও আমাদের ছেলেদের ওপর চড়াও হন। তাতে ৫ জন জখম হয়েছেন।” পাশাপাশি, সাবিরবাবুর অভিযোগ, কোচবিহার কলেজে ছাত্র পরিষদের সমর্থকরা তাদের বেশ কিছু মনোনয়ন কেড়ে নেন। তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অরিন্দম দের পাল্টা অভিযোগ, মাথাভাঙায় টিএমসিপি তাঁদের ছেলেদের মনোনয়নপত্র কেড়ে নিয়েছে। কোচবিহার কলেজে কোন অশান্তি হয়নি বলে অরিন্দমের দাবি। এসএফ আইয়ের জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি গোস্বামী বলেন, “টিএমসিপির বাধায় মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ কলেজে আমরা এদিন ঢুকতেই পারিনি।” এদিন থেকে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি তে দিনহাটা কলেজে তালা ঝুলিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নেমেছে এসএফআই। সংগঠনের স্থানীয় নেতা অভিনব রায় বলেন, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ টালবাহানা করছেন। বাধ্য হয়েই তাঁরা তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। দিনহাটা কলেজের অধ্যক্ষ আশিস সরকার অবশ্য বলেন, “জানুয়ারিতে পরীক্ষা ও ফেব্রুয়ারিতে ফর্ম ফিলাপ রয়েছে। আমরা এখন নির্বাচনের ঝুকি নিতে চাইছি না। মার্চে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। তার জন্য কলেজ বন্ধ করা হলে কি করার আছে!” |