অন্ডালের প্রস্তাবিত বিমাননগরীতে ৫০০ শয্যার মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলবে দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতাল। এ বিষয়ে ওই বিমাননগরীর নির্মাতা বেঙ্গল এরোট্রোপোলিস প্রজেক্টস লিমিটেডের সঙ্গে মিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার মিলন মেলায় ‘বেঙ্গল লিডস’ সম্মেলন প্রাঙ্গণে এক সাংবাদিক বৈঠকে ওই হাসপাতাল গড়ার ব্যাপারে যৌথ ঘোষণা করলেন তাঁরা।
মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ বসু জানান, দুই একর জমিতে ১৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হবে ওই হাসপাতাল। তিনি বলেন, “এরোট্রোপোলিস-কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরটি তৈরি হয়ে যাবে। যে-দিন সেই কাজ শেষ হবে, তার পরের দিন থেকেই শুরু হবে হাসপাতালের নির্মাণ। দু’বছরের মধ্যে হাসপাতাল তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছি আমরা।” এরোট্রোপোলিস প্রজেক্ট লিমিটেডের সিইও ও অধিকর্তা সুব্রত পাল বলেন, “বিমাননগরীতে এক হাজার শয্যার হেল্থ স্কাই সিটি তৈরি হবে। মিশন-কর্তৃপক্ষ ৫০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করছেন। অন্য কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল গোষ্ঠীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা চলছে।” সত্যজিৎবাবু জানান, দুর্গাপুরে তাঁদের ২৫০ শয্যার হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু রোগীর বিপুল চাপের তুলনায় শয্যা কম হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁরা অন্ডালের প্রকল্পটির বিষয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন। শিলিগুড়িতে পুরসভার সঙ্গে ‘পিপিপি’ বা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে হাসপাতাল খুলছেন তাঁরা। রাঁচিতেও সাড়ে চার একর জমি নিয়েছে মিশন হাসপাতাল গোষ্ঠী।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সত্যজিৎবাবু বলেন, “এই উদ্যোগ সফল হলে সাধারণ মানুষ খুবই উপকৃত হবেন। তবে প্রত্যন্ত জেলায় চিকিৎসকদের নিয়ে যেতে হলে সেখানে তাঁদের থাকা, বাচ্চাদের ভাল স্কুল, বিনোদনের ব্যবস্থা ইত্যাদিও গড়ে তুলতে হবে। সেই বিষয়ে সরকারের সাহায্য প্রয়োজন।” জেলা হাসপাতালগুলিতে পিপিপি মডেলে ক্যাথ ল্যাব তৈরি হলে জেলার হৃদ্রোগীদের আর কলকাতায় ছুটতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন মিশন হাসপাতালের চেয়ারম্যান। |