গণস্বাক্ষর নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ
আন্দোলনে কংগ্রেস
হরের ‘উন্নয়ন’ নিয়ে আন্দোলন শুরু করল জলপাইগুড়ি জেলা কংগ্রেস। মঙ্গলবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জলপাইগুড়ি শহর ‘বঞ্চিত’ অভিযোগ তুলে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজ্য সরকারি দফতরগুলির সামনে অবস্থান বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। সম্প্রতি শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ডে কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধি, শহরের বিধায়ক ও পুরসভার চেয়ারম্যান বাদ পড়ার পর থেকেই জেলা কংগ্রেসের অন্দরে ক্ষোভের সূত্রপাত। দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে শহরবাসীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রদেশ নেতৃত্বকেও সমগ্র বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্তমানে রাজ্য সরকারের দুই শরিক তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হওয়ার পর কংগ্রেসের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে জেলার রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এ দিন কংগ্রেসের তরফে যে স্মারকলিপি জেলাশাসকের দফতরে জমা দেওয়া হয়েছে, তাতে, ‘বর্তমান সময়েও জলপাইগুড়ি উন্নয়নের প্রশ্নে পিছিয়ে’ বলে উল্লেখ্য করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি শহর ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তথা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্তের নেতৃত্বে জেলাশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পিনাকীবাবু বলেন, “বর্তমান সময়েও শহরবাসীর অভিজ্ঞতা সুখের নয়। এসজেডিএ থেকে শহরের জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শহরের সমস্যার কথা তুলে ধরা সম্ভব হচ্ছে না। পুরসভার একাধিক প্রকল্প চাপা পড়ে রয়েছে। শহরের উন্নয়ন নিয়ে টালবাহানা, বঞ্চনা বিগত দিনে লক্ষ করা হয়েছে, সেই প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমাদের কাছে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় নেই।” দলীয় সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেলা কংগ্রেস নেতাদের এক বৈঠকে স্থির হয়েছে, যত দিন না এসজেডিএ-তে কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিদের না নেওয়া হচ্ছে ততদিন পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠনের দাবিতে রাজ্য সরকার তথা তৃণমুলের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়িয়ে যাওয়া হবে। কংগ্রেসের অভিযোগ, শহরের মূল সড়কগুলি সম্প্রসারণ, তিন নম্বর গুমটি থেকে মোহিতনগর পর্যন্ত বিকল্প পথ, নিকাশি প্রকল্প, হলদিবাড়ি বাস টার্মিনাস তৈরির মত প্রকল্পগুলি অর্ধসমাপ্ত হয়ে থাকলেও সেগুলি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পাশাপাশি, দ্রুত সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধন, করলা আকশন প্ল্যান কার্যকর করা, সদর হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নতি করা, এনবিএসটিসি-র জলপাইগুড়ি ডিপোকে আধুনিকীকরণ করার দাবিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পূর্ত দফতর, বিদ্যুৎ দফতর, এনবিএসটিসি, স্বাস্থ্য দফতর এমনকী কংগ্রেসের হাতে থাকা সেচ দফতরের সামনেও বিক্ষোভ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জেলা কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, “জলপাইগুড়ি পুরসভা কংগ্রেসের দখলে, বিধায়কও কংগ্রেসের, সে কারণে বাম জমানাতে যে ভাবে শহরকে বঞ্চিত রাখা হত, তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নতুন রাজ্য সরকারও একই ভাবে এই শহরকে বঞ্চিত রাখছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.