নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রায়গঞ্জ এবং মাজদিয়া কলেজের ঘটনার মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় ‘দ্বিচারিতা’ আছে বলে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এল বিরোধীরা। বামেদের দাবি, রায়গঞ্জের ঘটনায় অভিযুক্তেরা জামিন পেয়ে গিয়েছে এবং মাজদিয়ায় ধৃত ছাত্রদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এই তথ্য রাজ্যপালের জানা ছিল না। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে এসে বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র মঙ্গলবার বলেছেন, “রাজ্যপাল উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। কথা বলে মনে হয়েছে, একটি ক্ষেত্রে জামিন হয়েছে এবং অন্যটিতে হয়নি, এই ব্যাপারে রাজ্যপাল অবগত ছিলেন না। কিন্তু শুধু রাজ্যপাল নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসাবেও তাঁকে সরকারের অবগত করা উচিত ছিল।” |
মহাকরণে সাংবাদিক বৈঠকে। নিজস্ব চিত্র |
বামফ্রন্টের পরিষদীয় প্রতিনিধি দলের তরফে সিপিএমের সূর্যবাবু ও আনিসুর রহমান, আরএসপি-র সুভাষ নস্কর, ডিএসপি-র প্রবোধ সিংহ, ফরওয়ার্ড ব্লকের বিশ্বনাথ কারক, সিপিআইয়ের আনন্দময় মণ্ডল এবং সমাজবাদী পার্টির চাঁদ মহম্মদ এ দিন রাজভবনে গিয়ে রায়গঞ্জ ও মাজদিয়ার ঘটনা সবিস্তার রাজ্যপালকে জানান। বাম বিধায়কদের অভিযোগ, রায়গঞ্জের ঘটনায় লঘু ধারা দিয়ে মামলা সাজানো হয়েছে, যাতে অভিযুক্তেরা জামিন পায়। প্রধান শাসক দল তৃণমূলই সেখানে অভিযুক্ত। অন্য দিকে, মাজদিয়ায় অভিযুক্ত ছাত্রেরা সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সদস্য বলে তাদের বিরুদ্ধে অনেক কড়া অভিযোগ আনা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বিভিন্ন কলেজের ছাত্র সংসদ যে ‘জোর করে দখল’ করা হচ্ছে, ছাত্র নির্বাচনে অনেককে মনোনয়নপত্রই তুলতে দেওয়া হচ্ছে না, অনেকের পরীক্ষায় বসাও বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এই সব অভিযোগও রাজ্যপালকে জানিয়েছেন বামেরা।
পরে সূর্যবাবু বলেন, “সরকারের যে দুই ঘটনায় দু’রকম ভূমিকা ছিল, তা রাজ্যপালকে বলেছি। ওঁর কথা শুনে মনে হয়েছে, উনি ভাল ভাবে জানতেন না। উনি কয়েক দিন বাইরে ছিলেন। বিষয়টি দেখবেন বলে তিনি জানান। এমন ঘটনা যাতে আর না-ঘটে, তা দেখা দরকার।” বিরোধী দলনেতার মন্তব্য, “রাজনৈতিক বিষয়ে রাজ্যপালকে যুক্ত করতে চাই না। শাসক জোটের দু’টি দলের মধ্যে যা হচ্ছে, তাতে রাজ্যপালের করণীয় নেই। তাই ওই নিয়ে আমরা কিছু বলিওনি!” |