কলেজ-স্কুলে গোলমাল, অধ্যক্ষকে হুমকির নালিশ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কোথাও ছাত্র সংসদের ভোট নিয়ে অশান্তি, কোথাও বা বিতর্ক পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভর্তিকে কেন্দ্র করে। এই সব নিয়ে মঙ্গলবারও রাজ্যের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়ায়। রায়গঞ্জ বা মাজদিয়া কলেজের রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই এ দিন অধ্যক্ষকে হুমকি দেওয়া বা কটূক্তি করার মতো অভিযোগ উঠেছে বীরভূমের রামপুরহাট কলেজ ও লালবাগ সুভাষচন্দ্র শতবার্ষিকী কলেজে। কলেজ চত্বরে বহিরাগতদের প্রবেশকে ঘিরে রামপুরহাট কলেজে এসএফআইয়ের সঙ্গে ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি-র হাতাহাতি হয়। ছাত্র সংসদের অফিসে টিএমসিপি-ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ এসএফআইয়ের। কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, একদল ছাত্র ও বহিরাগত তাঁকে হুমকি দেয়। এ দিন হঠাৎই সামান্য বচসাকে ঘিরে এসএফআই ও ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে মারপিট বাধে লালবাগের কলেজে। অভিযোগ, দু’পক্ষের বিবাদ মেটাতে গিয়ে কলেজ শিক্ষকদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয়। পরে কলেজ অধ্যক্ষ প্রভাস সামন্ত গেলে তাঁকেও কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। আগামী ১৩ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ডাকও দিয়েছে এসএফআই। কোচবিহারের মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে গণ্ডগোল হয়। আবার দিনহাটা কলেজে কলেজে ভোটের দিন ঘোষণার দাবিতে গেটে তালা ঝোলায় এসএফআই। মাথাভাঙ্গা কলেজে টিএমসিপি ও ডিএসও সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ৭ জন জখম হন। তুফানগঞ্জ কলেজে ক্ষমতাসীন টিএমসিপির বাধায় এসএফআই কলেজে ঢ়ুকতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশ থাকায় বড় গোলমাল হয়নি। অন্য দিকে লটারি পরবর্তী ভর্তি নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের ভবনাথ ইনস্টিটিউট ফর গার্লস এবং ভাটপাড়া অমরকৃষ্ণ পাঠশালায়।
|
মামলা ঠুকেই পরীক্ষা, দ্রুত নিয়োগ সফলদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
একটি মামলার জেরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-পদে বেশ কিছু আবেদনকারী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সব প্রার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় যাঁরা যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৬ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। কিন্তু সেই পর্বের নিয়োগের আগেই ২০০৯ সালে রাজ্য সরকার আরও কয়েক হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-পদের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে। হাইকোর্ট তখন জানিয়ে দিয়েছিল, ২০০৬ সালের বিজ্ঞাপন অনুসারে আবেদনকারীদের নিয়োগ শেষ করার পরেই ২০০৯-এর বিজ্ঞাপন অনুযায়ী নিয়োগ করা যাবে। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ২০০৬ সালের বিজ্ঞাপন অনুযায়ী নিয়োগ পর্ব শুরু হয়ে যায়। কিন্তু তার পরেই বহু আবেদনকারী মামলা করে জানান, কর্মসংস্থান কেন্দ্র প্রার্থীদের যোগ্যতা এবং কত বছরের পুরনো কার্ড, তা না-দেখেই নিয়োগের জন্য জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে নাম পাঠাচ্ছে। হাইকোর্ট তখন ওই সব প্রার্থীকে নিয়োগের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেয়। সেই সঙ্গেই অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়, এই মামলার রায়ের উপরেই ওই সব প্রার্থীর চাকরি পাওয়া নির্ভর করবে। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এ দিন তাঁর রায়ে জানান, হাইকোর্টের নির্দেশে যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে যোগ্যদের এখনই নিয়োগপত্র দিতে হবে। ওই নিয়োগ-পরীক্ষা দিয়ে ইতিমধ্যেই যাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন, সেই শিক্ষকদের সঙ্গে এঁদের ‘সিনিয়রিটি’র ফারাক যাতে না-হয়, নিশ্চিত করতে হবে তা-ও। |