বন্দুকের জাল লাইসেন্স চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ভাস্কর আভিয়া। পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানা এলাকায় তার বাড়ি। সোমবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার রঘুনাথপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশের দাবি, ভাস্কর মূলত জাল লাইসেন্স চক্রের নথী তৈরি করতেন। তাকে প্রাথমিক ভাবে জেরা করে পুলিশ সোমবার রাতে পুরুলিয়া শহরের কাটিনপাড়ায় একটি বাগানবাড়িতে হানা দেয়। সেখানে কিছু জাল লাইসেন্স ও কিছু নথি পেয়েছে। জেলা পুলিশের এক কর্ত জানান, ওই বাগানবাড়ি থেকে উদ্ধার করা নথি থেকে জানা গিয়েছে, এ রাজ্যের কয়েকটি জেলা ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের কয়েক জনের নামে বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরি করা হয়েছে। রঘুনাথপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্য দাবি করেন, “ধৃত ভাস্কর আড়িয়া জাল লাইসেন্স চক্রের অন্যতম সদস্য। তাকে ধরার পরে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলিছে। আমাদের হেফাজতে নিয়ে তার কাছ থেকে আরও তথ্য জোগাড় করার চেষ্টা করা হবে।”
অক্টোবর মাসে বন্দুকের জাল লাইসেন্স-সহ সাঁওতালডিহি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। উদ্ধার করা হয় বেআইনি বন্দুক। পরে তদন্তে নেমে পুলিশ ঝাড়খণ্ড ও পুরুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা এবং আদ্রার জাতীয় খাদ্য নিগমের গুদামে তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু বেআইনি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২৯টি বেআইনি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার হয় মোট ১২ জন। ধৃতদের মধ্যে অন্যতম পুরুলিয়া শহরের অস্ত্র ব্যবসায়ী চণ্ডীচরণ কর্মকার। পুলিশের দাবি, তিনি এই জাল লাইসেন্স চক্রের পাণ্ডা। ধৃত ভাস্কর চণ্ডীবাবুর আত্মীয়। |