দুষ্কৃতীদের হামলায় কৃষ্ণনাথ কলেজের আবাসিক ছাত্র হাসানুজ্জামানের চোখের দৃষ্টি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ওই ছাত্রের অভিভাবকদের সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ওই মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু বিশেষজ্ঞ সুকান্ত বৈদ্য বলেন, “মারাত্মক আঘাত লাগার ফলে ওই ছাত্রের বাঁ চোখে সোমবার সকালে অস্ত্রোপচার হয়েছে। এর পরে চোখের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করে দেখা হবে। দৃষ্টি ফেরাতে আমাদের তরফে সমস্ত চেষ্টা হয়েছে।” ওই ছাত্রের চিকিৎসার দেখভালের জন্য কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রয়েছেন কলেজ শিক্ষক রাজীব মুখোপাধ্যায়। রাজীববাবু বলেন, “হাসানুজ্জামানের বাবা-মা দুজনেই মনের দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের সামনে যেতেই খারাপ লাগছে।” |
কান্নায় ভেঙে পড়েন হাসানুজ্জামানের বাবা মহম্মদ সাইফুজ্জামান। তিনি বলেন, “ছেলের জীবনটাই নষ্ট হয়ে গেল। চিকিৎসার জন্য ছেলেকে চেন্নাই নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছি।” রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ভাগীরথীর পাড় লাগোয়া গোরাবাজার জমিদারি এলাকায় কৃষ্ণনাথ কলেজ ছাত্রাবাস নিউ কুমার হস্টেলের মাঠে আবাসিক ছাত্রদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় কয়েকজন যুবকের। তখনই গুরুতর আহত হন অঙ্ক অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হাসানুজ্জামান। আরও তিন জন আবাসিক আহত। এর পরে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই যুবকদের এক জনকে আবাসিক-ছাত্ররা আটকে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আবাসিক ছাত্ররা মারধর করায় তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বহমরপুর থানার আইসি মেহায় মেনুল হক বলেন, “ধৃত যুবক অসুস্থ থাকায় এদিনও তাকে আদালতে হাজির করানো যায়নি।” |