এসএফআই এবং ছাত্রপরিষদের সদস্যদের মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে আচমকা হাতাহাতি, মারধরের শুরু হয়ে যায় লালবাগ সুভাষচন্দ্র সেন্টিনারি কলেজে। বিবাদ মেটাতে গেলে কলেজ শিক্ষকদের হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ। পরে কলেজ অধ্যক্ষ গেলে তাঁকে উদ্দেশ্য করেও কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী ১৩ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদ থানা এলাকার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ডাক দিয়েছে এসএফআই। কলেজ অধ্যক্ষ প্রভাস সামন্ত বলেন, “এদিন দুপুরে আচমকা দু’পক্ষের মধ্যে বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারপিট শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে কয়েক জন কলেজ শিক্ষক দু’পক্ষের বিবাদ থামাতে গেলে তাঁদের হেনস্থা করা বলে শুনেছি। পরে প্রকৃত ঘটনা জানতে গেলে আমার উদ্দেশ্য করে কটূক্তিও করা হয়েছে।” পরে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। আইসি ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু বলেন, “অধ্যক্ষ যে অভিযোগ করেছেন, সেই অনুযায়ী তদন্ত চলছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।” ছাত্রপরিষদের লালবাগ কলেজ ইউনিট সম্পাদক সোমনাথ প্রামাণিক পাল্টা অভিযোগ করেন, “এসএফআই-এর সদস্যেরা কলেজের মধ্যে দাঁড়িয়ে কয়েক জন ছাত্রীর উদ্দেশ্যে অশালীন মন্তব্য করছিল। আমাদের সমর্থক সনিরুল ইসলাম, ও কলেজের ছাত্র সংসদের সম্পাদক রাজীব শেখ-সহ বেশ কয়েক জন তার প্রতিবাদ করলে এসএফআই সদস্যরা তাদের মারধর করে। গুরুতর জখম হয় তিন জন। তাঁদের লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু প্রাথমিক চিকিৎসার পরে দুজনকে ছেড়ে দিলেও ভর্তি রয়েছে সনিরুল ইসলাম।” এসএফআইয়ের লালবাগ জোনাল কমিটির সম্পাদক শুভাশিস মণ্ডল বলেন, “আমাদের কোনও সদস্য কাউকে কোনও অশালীন মন্তব্য করেনি। বরং আমাদের সদস্যদের সাংগঠনিক কাজে বাধা দেয় ছাত্রপরিষদের কয়েক জন সদস্য। বাঁশ-লাঠি নিয়ে আমাদের সদস্য-সমর্থকদের উপরে চড়াও হয় তারা। তাদের মধ্যে কয়েক জন বহিরাগত ছিল।” শুভাশিসের অভিযোগ, “দু’পক্ষের মারপিট থামাতে গেলে ছাত্রপরিষদের সদস্যরা কলেজ অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের হেনস্থা করে। গৌতম মণ্ডল নামে আমাদের এক সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি।” |