সোমবার সন্ধ্যায় কয়েক মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার চারটি ব্লকে। মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ, সাগরদিঘি, রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর এবং ২ নম্বর ব্লকের জমির ফসল নষ্টের পাশাপাশি সদ্য তোলা গোলার ধানও নষ্ট হয়েছে। সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ব্লকের দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত-- নতুনপাড়া ও প্রসাদপুর। স্থানীয় বাঁশবেড়িয়া, টিকটিকিপাড়া ও বহরমগঞ্জ নামের তিনিটি মৌজায় সর্ম্পূণ ও আংশিক মিলিয়ে প্রায় ২০০টি বাড়ি ভেঙে পড়ছে বলে জানান স্থানীয় সাংসদ মান্নান হোসেন। মান্নান স্থানীয় বিধায়ক শাঁওনী সিংহ রায়, স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সরকারি আধিকারিকরা ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। রফিকুল বলেন, “ত্রাণের তারপলিন পঞ্চায়েত সমিতিতে নেই। বিধায়ক শাঁওনী সিংহ রায়ের তহবিলে ছিল মাত্র ২০-২২টি তারপলিন। ওই ক’টি বিলি করা হয়েছে। বাকি তারপলিন দ্রুত পাওয়ার জন্য মহকুমাশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে।” অন্যদিকে, সাংসদ মান্নান হোসেনও ত্রাণের জন্য মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফ্যাক্স মারফত আবেদন করেছেন বলে তিনি জানান। মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি বিভাগের মূখ্য আধিকারিক শ্যামল মজুমদার বলেন, “সোমবার এ জেলায় সব চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। ফলে ক্ষতি হয়েছে কলা, সর্ষে, আলু, মসুরি ও ছোলা চাষে। ক্ষতির পরিমাণ জানতে কৃষি দফতরের ব্লক আধিকারিকেরা মাঠে নেমে সরজমিনে খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন।” মান্নান বলেন, “সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে এ জেলার কৃষকদের নাভিশ্বাস। চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।” |