|
|
|
|
ক্ষতি দেখতে কেশপুরে ব্লকের কৃষি আধিকারিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শিলাবৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেশপুর ব্লকেই ফসলের সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে। চাষিদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। অনেকেই ঋণ নিয়ে চাষ করছিলেন। কী ভাবে ঋণ শোধ হবে, সে নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ব্লক কৃষি আধিকারিক শিমুল ভট্টাচার্য। এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ইতিমধ্যেই বহু চাষি ক্ষতিপূরণ চেয়ে কৃষি দফতরে আবেদন করেছেন। ব্লক কৃষি আধিকারিক বলেন, “পরিস্থিতি সত্যিই উদ্বেগের। বেশির ভাগ ফসল নষ্ট হয়েছে। শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি ঝড়ের কারণে ক্ষতি বেড়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।” দফতর সূত্রে খবর, জেলা কৃষি দফতরের প্রতিনিধি দল এসে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে, এ দিন সেই আবেদনও জানিয়েছেন শিমুলবাবু। জেলা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, “প্রয়োজনে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হবে।”
মঙ্গলবারই প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেব দিয়ে জেলা দফতরে এক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন ব্লক কৃষি আধিকারিক। যেখানে বলা হয়েছে, কেশপুরে ৮ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ৬ হাজার ১০০ হেক্টর জমির আলুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরষে চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০ হেক্টরের চাষই নষ্ট হয়েছে। অন্য দিকে, সবজি চাষ হয়েছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির সবজি। পরে মৌজা-ভিত্তিক ক্ষয়ক্ষতির হিসেবও তৈরি করা হবে।
রবিবার রাতে কেশপুরে শিলাবৃষ্টি হয়। সঙ্গে ঝোড়া হাওয়া বয়ে যায়। ফলে, বিস্তীণর্র্ জমির ফসল নষ্ট হয়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই। কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন কেশপুরের তৃণমূল নেতা চিত্ত গরাইও। তিনি বলেন, “শীতকালে এই পরিস্থিতি অপ্রত্যাশিত। অধিকাংশ জমির আলুই নষ্ট হয়েছে। ফলে, কৃষকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আমারও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে কৃষি দফতরের কাছে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন রেখেছি।” মঙ্গলবার দুপুরে জগন্নাথপুর, তেঘরি ও তার আশপাশ এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন ব্লক কৃষি আধিকারিক। |
|
|
|
|
|