|
|
|
|
পাইপলাইন নিয়ে জট |
জমি কিনে নিক সিইএসসি, দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বিদ্যুৎ-প্রকল্পে জলের জন্য সিইএসসি পাইপলাইন নিয়ে যাবে যে জমির নীচ দিয়ে, তার জন্য সাময়িক সামান্য ক্ষতিপূরণ নয়, জমি কিনে নিক বিদ্যুৎ-সংস্থাএমনই দাবি উঠল হলদিয়ায়। মঙ্গলবার সুতাহাটার দুর্গাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশপাশের ছ’টি গ্রামের চাষিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন সিইএসসি-র প্রতিনিধিরা। সেখানেই জমি কেনার দাবি ওঠে। বিডিও পার্থ ভৌমিক বলেন, “সিইএসসি চাষিদের সঙ্গে যে আলোচনার আয়োজন করেছিল, সেখানে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলাম। যতটুকু জেনেছি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি।”
হলদিয়ায় জয়নগরে সিইএসসি-র বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রয়োজনীয় জলের ‘পাম্পিং স্টেশনের’ কাজ চলেছে কুকড়াহাটির নটপটিয়ায়। সেখান থেকে প্রায় সাড়ে ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে মূল-প্রকল্প এলাকায় পাইপলাইন নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল মাসখানেক আগে। অনুমতি ছাড়াই জমির নীচ দিয়ে পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অভিযোগে দুর্গাপুর, আদাদরো, ভুজবলচক, গেরোদরো, বাচালু, কালীপুর এলাকার চাষিরা বিক্ষোভ শুরু করেন। দিন পনেরো আগে ওই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় বিকাশ মণ্ডল, দিলীপ দাস, পরিতোষ দোলুইদের বক্তব্য, “মাটির নীচ দিয়ে পাইপ যাওয়ার ফলে আমরা আর ওই জমির উপরে ভবিষ্যতে কোনও নির্মাণকাজ করতে পারব না। সে ক্ষেত্রে সাময়িক ক্ষতিপূরণ পেয়ে লাভ নেই।” তাঁদের দাবি, হয় সিইএসসি জমি কিনে নিক না হলে প্রশাসন উপযুক্ত দাম দিয়ে বিদ্যুৎ-সংস্থার জন্য জমি অধিগ্রহণ করে দিক। সিইএসসি-র তরফে এ দিন আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অভিজিৎ দাস। পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে ছিলেন সভাপতি কৃষ্ণেন্দু পাত্র। ব্লক প্রশাসনিক প্রতিনিধি হিসাবে ছিলেন নরেন্দ্রনাথ জানা। স্থানীয় প্রায় আটশো চাষি আলোচনায় যোগ দেন। চাষিদের তরফে সুদীপ পণ্ডা বলেন, “জমিতে যখন কিছু করতেই পারব না, তখন শুধু সাময়িক ক্ষতিপূরণ পেয়ে কী হবে? জমি কিনে না নিলে কোনও কাজ করতে দেব না।” সিইএসসি-র তরফে অভিজিৎবাবুর বক্তব্য, “স্থানীয়দের বক্তব্য শোনাই ছিল আমাদের কাজ। আমরা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছি। চাষিরা জমি কেনা বা অধিগ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন। শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত হবে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ঠিক করবেন।” |
|
|
|
|
|