বেহাল রাস্তায় ইট ফেলে জোড়াতালি, বাধা
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় ২০০৮-০৯ সালে তৈরি হয়েছিল রাস্তা। কিন্তু বছর না ঘুরতেই তা বেহাল হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। রাস্তার এমন দশা নিয়ে ক্ষোভ তো ছিলই। সম্প্রতি ইট ফেলে রাস্তার গর্ত বোজানোর কাজ শুরু হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের বাধায় থমকে গিয়েছে এগরার কসবাগোলা-পানিপারুল রাস্তায় জোড়াতালি মারার কাজ।
এলাকার মানুষের দাবি, সড়ক যোজনার নিয়ম মেনে পাথর ও পিচ ফেলে রাস্তা মেরামত করতে হবে। এই মর্মে জেলা পরিষদে দাবিপত্রও পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “সড়ক যোজনার রাস্তা তৈরির পাঁচ বছরের মধ্যে সংস্কারের প্রয়োজন হলে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সে জন্য টাকা বরাদ্দ করে। সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে রাস্তা সংস্কারের জন্য এক কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও তা আসেনি।” তিনি জানান, রাস্তাটি আপাতত চলার যোগ্য করে তোলার জন্য জেলা পরিষদের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই টাকায় এখন রাস্তার কাজ হচ্ছে। মূল প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হলে পাথর ও পিচ দিয়ে ফের কাজ হবে।
ছবি: কৌশিক মিশ্র।
২০০৮-০৯ সালে কসবাগোলা থেকে পানিপারুল পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার রাস্তায় কাজ হয়েছিল। এগরা-১ ব্লকের পাঁচকোল, সাহাড়া ও জমুকি পঞ্চায়েত এবং এগরা-২ ব্লকের পানিপারুল পঞ্চায়েত এলাকার উপর দিয়ে গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি। কিন্তু বছর না পেরোতেই রাস্তাটি বেহাল হয়ে পড়ে। কসবাগোলা থেকে চাটলা পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ প্রতিদিন ওই রুটে বেশ কয়েকটি ট্রেকার, দূরপাল্লার বাস যাতায়াত করে। এগরা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী রেখা প্রধান বলেন, “চাটলা, কসবাগোলা ও পানিপারুল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। তা ছাড়া এলাকার অর্থনীতি নির্ভর করে খড়িকাঠি, পান ও ধান চাষের উপর। সে সব পণ্য পরিবহণের জন্য বাংলা-ওডিশার যানও চলাচল করে। অথচ, প্রায় দু’বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে রাস্তাটির গুরুত্ব এবং তার বর্তমান অবস্থার বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি।” ব্লকের তৃণমূল নেতা প্রভুপদ দাস বলেন, “অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হওয়ায় রাস্তার এমন হাল। দ্রুত মেরামত করা না হলে এলাকার বাসিন্দাদের নিয়ে আন্দোলনে নামব।” এলাকার সিপিএম নেতা ও প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তপন প্রধান বলেন, “আমরা জেলা পরিষদে থাকার সময় ওই রাস্তার প্রকল্প তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কাজ হয়েছে তৃণমূলের আমলে। বেনিফিশিয়ারি কমিটিতে ছিলেন তৃণমূলেরই লোক। প্রকল্প অনুযায়ী কাজ তো হয়ইনি বরং আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এর তদন্ত হওয়া উচিত।” মামুদ হোসেন বলেন, “ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের প্রতিনিধিদল পাঠিয়ে বিষয়টির তদন্ত করা হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে রাস্তা মেরামত করে দিতে হবে। তা না হলে জমা থাকা ‘সিকিউরিটি মানি’ কেটে নেওয়া হবে। কড়া পদক্ষেপ করবে জেলা পরিষদ।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.