শহরে রাষ্ট্রদূত লারা
‘আমার তো মনে হয় পার্থেই সচিনের সেঞ্চুরিটা হয়ে যাবে’
নৈশভোজের জন্য রাত সাড়ে ন’টায় লবিতে। আর্মানির কালো রঙের স্যুট, পাশে ডারেন গঙ্গা। গাড়ির জন্য মধ্য কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের পোর্টিকোতে দু’জন নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ক্রিকেটের রাজপুত্র। ব্রায়ান চার্লস লারা!
শহরে অবশ্য আগমন অন্য ভূমিকায়। ত্রিনিদাদ ও টোব্যাগোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে। ঠাসা সূচি থেকে বাদ পড়েছে অনেক কিছুই, কিন্তু বণিকসভার অনুষ্ঠানে ছিলেন। যতই হোক বণিক সভার অনুষ্ঠান, লারা শহরে অথচ ক্রিকেট থাকবে না, হয়? আর অবধারিত ভাবে এসেছে প্রিয় বন্ধুর প্রসঙ্গ। সচিনের শততমটা কবে হচ্ছে? সেখানে হাসতে-হাসতে বলেছেন, “যে কোনও দিন হয়ে যাবে। এত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমার তো মন বলছে, পার্থেই হয়ে যাবে।” আর নৈশভোজে যাওয়ার আগে আনন্দবাজারকে বললেন, “দুপুরে যা বলার বলেইছি। সচিনের শততমটা ঠিক হয়ে যাবে।” আলোকচিত্রী যখন ছবি তুলতে ব্যস্ত, এক কালের টিমমেট গঙ্গার সঙ্গে আড্ডা মারতে-মারতে লারার হাসি, ‘‘এই শহরটার এই এক সমস্যা। প্রাইভেসি নেই!”
নৈশভোজে যাওয়ার আগে হোটেলের লবিতে। মঙ্গলবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
সচিন-প্রসঙ্গে দুপুরে দরাজ সার্টিফিকেট টেস্ট ক্রিকেটের একমাত্র চারশো রানের মালিকের। বলা হল, গত আঠারো ইনিংসে সচিনের সেঞ্চুরি নেই। অসহ্য চাপই কি কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে দিচ্ছে না? লারা মাথা নাড়েন। “রিকি পন্টিংও কিন্তু একটা সময় দু’বছর সেঞ্চুরি পায়নি। তার মানে কি ও খারাপ ব্যাট করছে। এই তো সেঞ্চুরি পেয়ে গেল। সচিন তা হলে পাবে না কেন?” সঙ্গে যোগ করছেন, “আর সচিন কিন্তু ফর্মেই আছে। সত্তর-আশি করছে। এ ভাবেই হয়ে যাবে সেঞ্চুরিটা। আপনারা বলছেন চাপ, আমার কিন্তু দেখে এক বারও মনে হয়নি সচিন কোনও চাপে আছে।”
গাড়ি আসতে দেরি হওয়ার জন্য পাঁচ-সাত মিনিট লবিতে দাঁড়িয়ে। গঙ্গা বলছিলেন, “সারা দিন আমাদের খুব ধকল গিয়েছে। শুভেচ্ছা সফর তো। আর কথা বলতে ভাল লাগছে না।” তা সত্ত্বেও অত রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের আব্দার মেনে অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন লারা। যিনি দাঁড়াচ্ছেন ধোনির পাশে। অস্ট্রেলিয়ায় ‘ডিফেন্সিভ ক্যাপ্টেন’ তকমা লেগে যাওয়া ধোনিকে নিয়ে লারার মন্তব্য, “আমার মনে হয় না ও ডিফেন্সিভ ক্যাপ্টেন। ওর আগ্রাসন কমেছে বলেও যে এত কথা হচ্ছে, সেটাও ঠিক নয়। আসলে টিমটা খারাপ খেলছে। ওরও ব্যাড-প্যাচ চলছে। টিমটা ছন্দে ফিরুক, ধোনিকেও আবার আগের মতো তেতে থাকা দেখাবে।”
সচিন-রাহুল-লক্ষ্মণদের অবসরের পরে ভারতীয় ক্রিকেটে যে বিরাট শূন্যতা তৈরি হবে, তা সামলানোর উপায় কী? লারার উত্তর, “এটা সব দেশেই হয়। আমাদেরও যখন রিচার্ডস-গ্রিনিজ-হেনেস খেলা ছেড়েছিল, শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। নতুন কিছু না। শূন্যতাটা ভরানো ভারতের নির্বাচকদের কাজ।”




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.