ফের অভয়ারণ্যের বিধি ভেঙে পর্যটন ব্যবসার অভিযোগ উঠল জয়ন্তীতে। বক্সার কোর এরিয়ায় পর্যটকেরা ঢুকে পড়ছেন অভিযোগ করে কয়েক মাস আগে বন দফতরের পক্ষ থেকে জয়ন্তীতে পর্যটন বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পর্যটন দফতর এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ফের তা চালু হয়। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চালু থাকবে বলে জানানো হয়। সম্প্রতি বক্সার কোর এরিয়া থেকে গভীর রাতে বনকর্মীরা প্রায় ২০-২৫ জন পর্যটককে মদ্যপ অবস্থায় আটক করেন। নিষেধ করা সত্বেও পর্যটকেরা অনেকেই গড়ি নিয়ে গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা রবীন্দ্র সাইনি বলেন, “বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়ন্তী এলাকায় বিধি ভেঙে পর্যটন ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ মিলেছে। এর ফলে রাজ্য সরকারের যেমন আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে তেমনই জঙ্গলের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সেই জন্যই আপাতত পর্যটকদের জয়ন্তীতে ঢোকা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জয়ন্তীতে গ্রামবাসীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও কড়া মনোভাব দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর। জয়ন্তীর প্রতিটি বাসিন্দাকে ভোটার কার্ডের তালিকা চেকপোস্টে জমা দিতে বলা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা (পুব) জে ভি ভাস্কর বলেন, “আমরা হোম ট্যুরিজম ও লজ মালিকদের জানিয়ে দিয়েছি, তাদের কাছে কখন, কতজন পযর্টক আসবেন তার তালিকা বন দফতরের কাছে আগে জমা দিতে হবে। ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা রাজাভাতখাওয়া এলাকা থেকে পযর্টকদের ঢোকা ও বের হওয়ার অনুমতি থাকবে। আগে পরে কেউ ওই পথ দিয়ে জয়ন্তী যেতে পারবেন না।” বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায়ের দাবি, পযর্টকরা নিয়ম ভাঙছেন না। পযর্টন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা নিয়ম না মেনে বাফার এলাকায় পযর্টকদের নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের নিয়ম মেনে এলাকায় পর্যটন চলা উচিত। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সমন্বয় তৈরি করতে হবে। পর্যটন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করব যাতে বার বার এ ধরনের অসুবিধে সৃষ্টি না হয়।” জয়ন্তী গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য বলেন, “এলাকায় যে সমস্ত মদের বোতল পাওয়া যাচ্ছে তা পর্যটকদের নয়। দিনে বাইক নিয়ে যে সমস্ত যুবক ঘুরতে আসেন সেটা তাদের অপকর্ম। এতে আমরাও বিরক্ত। আমরা চাই বন দফতর নির্দিষ্ট নিয়ম নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করুক ও সচেতনতামূলক প্রচার চালাক।” |