অসমে দু’টি ব্যাঘ্র প্রকল্পভুক্ত এলাকায় বাঘের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এরই পাশাপাশি, ওড়িশার নন্দন কানন থেকে আনা সাদা বাঘ দুটির তিনটি শাবক হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪। বাচ্চা তিনটিকে কাঠের খাঁচায় রাখা হয়েছে। চোখ ফুটলে তাদের বের করা হবে।
ডিসেম্বর অবধি হওয়া বাঘ সুমারি অনুযায়ী অসমে রয়্যাল বেঙ্গলের সংখ্যা ১৪৩টি। এর মধ্যে কাজিরাঙাতেই ১১৮টি বাঘ রয়েছে। বাঘের উপরে নজর রাখতেকাজিরাঙার ১৫টি স্পর্শকাতর এলাকায় বসানো হচ্ছে ‘ইলেকট্রনিক আই’। আজ, গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায়, কাজিরাঙা, মানস, ওরাং ও নামেরি বাঘ সংরক্ষিত অরণ্যের অধিকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে, এই কথা জানান বনমন্ত্রী রকিবুল হুসেন। |
গুয়াহাটি চিড়িয়াখানায় মা হল নন্দনকানন থেকে আনা সাদা বাঘিনি। কাঠের ডাল দিয়ে
তৈরি বিশেষ খাঁচার ভিতর রাখা হয়েছে তার তিন শাবককে। মঙ্গলবার উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি। |
‘ইলেকট্রনিক আই’-এমন একটি লেন্সভিত্তিক যন্ত্র, যার মাধ্যমে পরিষ্কার পরিবেশে ২০ কিলোমিটার এলাকা অবধি নজর রাখা সম্ভব। ২০ কিলোগ্রাম ওজনের যে কোনও সচল বস্তুর ছবি তুলে, চিহ্নিত করতে সক্ষম এই যন্ত্র। তবে, কাজিরাঙার মতো অরণ্যে ‘ইলেকট্রনিক আই’ ৫ কিলোমিটার অবধি নজর রাখতে পারবে। এই বছরের মধ্যে কাজিরাঙায় যন্ত্রটি বসানো হবে। ঠিকমতো কাজ করলে, অন্য অরণ্যগুলিতেও ‘ইলেকট্রনিক আই’ বসানো হবে। অনেকটা ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরার মতোই কাজ করবে এটি। লেন্সের চোখে ধরা দেওয়া দৃশ্য রেঞ্জ অফিসের টিভিতে দেখা যাবে। অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই, দ্রুত বনরক্ষীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবেন। কাজিরাঙা ছাড়া, ওরাং-এও বাঘের ঘনত্ব বাড়ছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিং-এ মানসে বাঘ থাকার প্রমাণও মিলেছে।
মন্ত্রী জানান, ২০১১ সালের হাতি সুমারি অনুযায়ী রাজ্যে হাতির সংখ্যা ৫৬২০টি। ২০০২ সালে সংখ্যাটি ছিল ৫২৪৬। রাজ্যে একশৃঙ্গ গন্ডারের সংখ্যা এখনও ২২০০-র বেশি। ২০০৬ সালে সংখ্যাটি ছিল ১৯৯৯টি। |